গ্ল্যামারের পাশাপাশি সাবিলা নূরের অভিনয় ক্যারিশমায় মুগ্ধ দর্শক। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে টিনএনজদের কাছে সাবিলার গ্রহণযোগ্যতা আকাশ ছোঁয়া। তবে এই গেল দুই বছর অভিনেত্রী তার নানামাত্রিক কাজ দিয়ে নজড় কেড়েছেন। হয়ে উঠেছেন ছোটপর্দার প্রথমসারীর অভিনেত্রীদের একজন।
২০১২ সালে ‘ইউটার্ন’ নাটকের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু সাবিলার। নিজের ক্যারিয়ার বিশ্লেষণ করতে গিয়ে চ্যানেল আই অনলাইনকে অভিনেত্রী বলেন, কিছু কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সবকিছু বুঝতাম না। তবে আমার সহশিল্পীদের দারুণ সাপোর্ট আজকে আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে। আগে একই ধরনের এবং টমবয় টাইপের চরিত্র বেশী করতাম। কিন্তু এখন চেষ্টা করছি সেটা ভেঙে নিজেকে বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে দেখানোর।
পর্দায় এখন নিয়মিতিই বিভিন্ন চরিত্রে হাজির হন সাবিলা নূর। অভিনয়ের বাইরেও এই অভিনেত্রী ভীষণ আন্তরিক, সবার কাছে তার পেশাদারিত্বের ভূয়সী প্রশংসা। আসলে সাবিলা নূর কেমন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ভীষণ রিজার্ভড। অনেকেই যখন আমাকে অভিনয়ের বাইরে দেখে মেলাতে পারে না।
‘ব্যক্তিগত জীবন দর্শকদের দেখাতে কমফোর্টেবল লাগে না। হ্যাঁ, এটাও বুঝি তাদের আগ্রহ থাকে জানার তারপরেও আমি ব্যক্তিগত জীবন প্রাইভেট রাখতে চাই। আমার স্বামীও খুবই ক্যামেরাবিমুখ, সেও চায় না যে খুব ব্যক্তিগত কিছু পোস্ট করি। এইজন্য আমার পেইজটি রক্ত খোঁজার আহ্বান, অসহায়দের সহায়তার কাজে লাগাই।’

সাবিলা নূর এখন নারীপ্রধান কাজকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। জানালেন, গতবছর নিজস্ব প্রতিবেদক, আমি রোকেয়া বলছি, হৃদিতা, মে আই কাম ইন-এর মত কাজগুলো প্রচার হওয়ার পর দর্শকদের থেকে একটু বেশী ইতিবাচক ফিডব্যাক পান। তখন থেকে এসব ব্যতিক্রমী কাজে আগ্রহ বেড়েছে তার।
সাবিলা নূর বলেন, রোম্যান্টিক কমেডি ধাঁচের গল্প আমার খুব পছন্দ। কিন্তু গত বছর দেখলাম দর্শক আমার ব্যতিক্রমী কাজগুলো পছন্দ করছেন। পাশাপাশি নারীপ্রধান কাজগুলো নিজের সঙ্গে গ্রাউন্ড ক্রিয়েট করে। কাজের সঙ্গেও সৎ থাকতে সাহায্য করে। শিখতে পারি।

নারীপ্রধান গল্প তুলনামূলক কম দর্শকদের কাছে পৌঁছায়। ইউটিউব ভিউয়ের পরিসংখ্যান তাই বলে! সাবিলা সম্প্রতি শুটিং করলেন আহমেদ তাওকিরের গল্প ও চিত্রনাট্যে অনন্য মামুনের পরিচালনায় ‘বিরতীহীন যাত্রা’ নামে একটি নারীপ্রধান গল্পের নাটক করলেন।
এ কাজটি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে উদাহরণ টেনে সাবিলা বলেন, মেহজাবীন আপুর ‘অ্যাম্বুলেন্স গার্ল’ কাজটা কিন্তু হিউজ মানুষ দেখেছে। ভিউয়ের বাইরে এই ধরনের কাজ করে আমি যে পরিমাণ খুদেবার্তা পেয়েছি তা সত্যিই স্পেশাল। বিরতিহীন যাত্রা প্রচারের পর মানুষ দেখে গঠনমূলক আলোচনা করলে তৃপ্তি পাবো।