ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার শস্য চুক্তির মেয়াদ নবায়ন না হওয়ায় চলতি মাসের ২৭ তারিখ শেষ হয়েছে চুক্তির মেয়াদ। এখন ইউক্রেনের শস্য ভাণ্ডার ধ্বংস করার জন্য নতুন কৌশল অবলম্বন করছে রাশিয়া। দানিউব নদীর তীরে ইউক্রেনের বিকল্প রপ্তানির রাস্তাগুলোতে আক্রমণ করছে দেশটি।
শনিবার ২৯ জুলাই ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার শস্য চুক্তির মেয়াদ ছিল ২২ জুলাই ২০২২ থেকে ১৭ জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত।
চুক্তির মাধ্যমে ইউক্রেন কৃষ্ণ সাগর ব্যবহার করে সারাবিশ্বে নিজেদের শস্য রপ্তানি করতো। বিবিসি জানায়, আমরা লক্ষ্য করছি ইউক্রেনের শস্য ভাণ্ডারগুলোকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে রাশিয়া।
গত বছরের জুলাই মাসের চুক্তির ফলে আগস্টের শুরু থেকে স্বাভাবিকের তুলনায় এক তৃতীয়াংশ কম হলেও তিন কোটি ৩০ লাখ টন শস্য রপ্তানি হয়েছে কৃষ্ণ সাগর হয়ে। এছাড়াও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রীও এই সাগরের শস্য চুক্তির মাধ্যমে রপ্তানি করা হয়। কিন্ত সাম্প্রতিক সময়ে এর অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।

ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলো এখন রাশিয়া অবরোধ করে রাখায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবেশী রোমানিয়ায় শস্য রপ্তানির জন্য দানিউব নদীর তীরে অবস্থিত বন্দরগুলোর ওপর অনেক বেশি নির্ভর করতে হবে। রোমানিয়ার বন্দরগুলো খোলা থাকায় সেখান থেকে বিভিন্ন দেশে শস্য রপ্তানির একটা সম্ভাবনা ছিল।

কিন্তু কৃষ্ণ সাগরে রপ্তানি কেন্দ্রগুলোতে বারবার আক্রমণের পর রাশিয়া এবার দানিউব নদীর তীরে অবস্থিত বন্দরগুলোকে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার লক্ষ্য বস্তু করছে।
বিজ্ঞাপন
সাম্প্রতিক রাশিয়ার আক্রমণগুলোর মধ্যে একটি রেনি বন্দর আক্রমণ। ন্যাটো সদস্যভুক্ত রোমানিয়ার সীমান্ত থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে দানিউবজুড়ে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে রাশিয়া।
এছাড়াও কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী বন্দরগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৯ জুলাই রাতে চোরনোমর্স্কে অন্তত দু’টি স্টোরেজ ট্যাঙ্ক ধ্বংস হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই দিন রাতে বন্দরগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।
বিজ্ঞাপন