চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সেভেরোদনিয়েস্কের অর্ধেক রাশিয়ার দখলে

ইউক্রেনের লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সেরহি হাইদাই জানিয়েছেন, রুশ বাহিনী এখন সেখানকার আঞ্চলিক রাজধানী সেভেরোদনিয়েস্ক শহরের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।

তবে ইউক্রেনিয়ান বাহিনী শহরের পূর্ব অংশে এখনো প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে রুশরা সেদিকে অগ্রসর হতে না পারেন।

সেরহি হাইদাই বিবিসিকে জানান, রাশিয়ার বাহিনী এখন কয়েক দিক থেকে সেখানে আক্রমণ চালাচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত, এরা এখন শহরে ঢুকে পড়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি খুবই খারাপ।

তিনি আরও বলেন, ওরা অ্যাম্বুলেন্সের ওপর গুলি চালায়, আমরা জানি না ডাক্তারদের ভাগ্যে কী ঘটে। ওরা ফোন ধরছে না। একটা হাসপাতাল ধ্বংস করে দেওয়া হয়। সেখানকার অবস্থা খুবই খারাপ।

নগর কর্তৃপক্ষের প্রধান ইউক্রেনের একটি টিভি চ্যানেলকে জানান, সেভেরোদনিয়েস্ক এখন কার্যত দুভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। শহরের অর্ধেক অংশে রুশরা তাদের নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করছেন। রুশরা যদি সেভেরোদনিয়েস্ক ও পাশের আরেকটি শহর লিসিচানস্ক দখল করতে পারে, তা হলে পুরো লুহানস্ক অঞ্চল তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।

গভর্নর সেরহি হাইদাই বলেন, রাশিয়ার গোলা হামলার মোকাবিলা করার জন্য তাদের পশ্চিমা দেশ থেকে দূর পাল্লার কামান দরকার।

যুদ্ধ সম্পর্কে সর্বশেষ এক পর্যালোচনায় ব্রিটেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, সেভেরোদনিয়েস্ক দখলে রাশিয়া যে সাফল্য দেখিয়েছে, তার পেছনে আছে এ রকম একটি ছোট এলাকায় বিপুল সেনা সমাবেশ ঘটানোর কৌশল। তবে এর ফলে রাশিয়া তাদের অধিকৃত অন্য অঞ্চলে ঝুঁকির মধ্যে আছে।

সেভেরোদনিয়েস্কের কর্মকর্তারা বলেন, রুশ গোলাবর্ষণ অব্যাহত থাকায় সেখান থেকে বেসামরিক মানুষদের উদ্ধারের কাজ থেমে গেছে।

সেরহি হাইদাই জানান, এখনো হয়তো ১৫ হাজারের মতো বেসামরিক মানুষ সেখানে আটকে আছে।

ত্রাণ সংস্থা নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল ইয়ান এগেল্যান্ড রয়টার্সেকে বলেন, শহরটি যেভাবে ধ্বংস করা হয়, তা দেখে তিনি হতবাক হয়েছেন। শহরটিতে গোলাগুলির মধ্যে হাজার হাজার মানুষ আটকে আছে। তাদের পানি, খাবার, ওষুধ বা বিদ্যুৎ নেই।