কানাডা প্রবাসী পাত্রের সঙ্গে বিয়ের আলোচনা চলছিল বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তার তামান্নার (২৭)। কিন্তু বাসায় যাবার পথে রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে কাভার্ডভ্যানের চাপায় প্রাণ হারান তিনি।
সানজিদা আক্তার তামান্নার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার ওয়াসেকপুর গ্রামে। বর্তমানে কামরাঙ্গীরচর নুরবাগ মনির চেয়ারম্যান গলিতে থাকেন। তার বাবার নাম আবু তাহের।
মৃত তামন্নার বড় ভাই মো. সায়েম জানান, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ম্যানেজমেন্ট বিভাগে অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তামান্না। শুক্রবার বিকেলে কলাবাগানে এক আত্মীয়ের বাসায় ইফতারের দাওয়াতে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথেই ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সায়েম বলছিলেন: ঈদের পর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল বোনের। কানাডা প্রবাসী এক ছেলের সঙ্গে বিয়ের আলোচনা চলছিল। ঈদের পরে সেই ছেলে দেশে আসলে বিয়ের দিন তারিখ ফাইনাল করার কথা ছিলো। কিন্তু এখন সে সবই শেষ!

শনিবার ১ এপ্রিল লালবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম মুর্শেদ জানান, শুক্রবার ৩১ মার্চ রাতে রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেলযোগে বেড়িবাঁধ দিয়ে যাওয়ার সময় একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেলসহ ছিটকে পড়লে ওই কাভার্ডভ্যানের চাকায় পিষ্ট হন তামান্না।
পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাতের দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন: ঘটনার পরপরই কাভার্ডভ্যানটি চালকসহ জব্দ করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।