চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

গুণীজনদের স্মৃতিতে আলী যাকের

বাংলাদেশ সৃষ্টির পর যে ক’জন নিজ হাতে বাংলা নাট্যাঙ্গনের হাল ধরেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তিত্ব আলী যাকের। নাটকের চর্চা, প্রসার ও নাট্য আন্দোলনে শুরু থেকেই রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা। রচনা, অভিনয় ও নির্দেশনা- শিল্পের তিন মাধ্যমেই ঘটিয়েছিলেন নিজের সফল বহিঃপ্রকাশ।

শনিবার (৬ নভেম্বর) ছিলো বাংলা নাট্যাঙ্গনের এই প্রবাদ পুরুষের জন্মদিন। এই প্রথম তাকে ছাড়া তার জন্মদিন উদযাপন করলো সহকর্মী, সতীর্থরা। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় কীর্তিমান এই নাট্যযোদ্ধাকে স্মরণ করলেন গুণীজনেরা।

এদিন সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় আলী যাকেরের ৭৭তম জন্মদিনের বিশেষ আয়োজন। নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় উদ্যোগে চার পর্বের স্মৃতিচারণ, আবৃত্তি ও গান দিয়ে সাজানো ছিল বর্ণাঢ্য এই আয়োজন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রথম পর্বের স্মৃতিচারণে আলী যাকেরের বর্ণিল জীবনের আলোকপাত করে স্মৃতিচারণ করেন নাট্যজন আবুল হায়াত, ফেরদৌসী মজুমদার ও আবদুস সেলিম। এরপর রবীন্দ্রনাথের গান ‘তুমি ডাক দিয়েছো কোন সকালে’ গেয়ে শোনান রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা এবং ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন আহকামউল্লাহ।

দ্বিতীয় পর্বের স্মৃতিচারণে অংশ নেন নাট্যজন আতাউর রহমান, প্রয়াত সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের পত্নী আনোয়ারা সৈয়দ হক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু। এরপরে রবিঠাকুরের ‘তুমি নির্মল করো’ গানটি পরিবেশন করেন প্রিয়াংকা গোপ ও ‘আট বছর আগের একদিন’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন শিমুল মুস্তাফা।

তৃতীয় পর্বে স্মৃতিচারণ করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, অভিনেত্রী শিমুল ইউসুফ ও নাট্যকার মাসুম রেজা। এ সময় বাবার স্মৃতিচারণ করেন আলী যাকেরের ছেলে ইরেশ যাকের।

এ পর্ব শেষে ‘মুক্তির মন্দির সোপান তলে’ গেয়ে শোনান ফারহিন খান জয়িতা এবং আলী যাকের রচিত ‘সেই অরুণোদয়ের থেকে’ পাঠ করেন ত্রপা মজুমদার।

চতুর্থ ও শেষ পর্বের স্মৃতিচারণে অংশ নেন নাট্যাভিনেতা রামেন্দু মজুমদার, তারিক আনাম খান ও আসাদুজ্জামান নূর। সবশেষে স্বামীর স্মৃতিচারণ করেন আলী যাকের-পত্নী সারা যাকের।

বাপ্পা মজুমদারের কণ্ঠে ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’ গানটির মধ্য দিয়ে আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে।