চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

রিয়াল-লিভারপুল: ইতিহাস কী বলছে

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গত মৌসুমে ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুল। এবার শেষ ষোলোতেই মুখোমুখি হচ্ছে। কোয়ার্টার ফাইনালের আগেই শিরোপা প্রত্যাশী কোনো একটি দলকে নিতে হবে বিদায়। রিয়াল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ২টায় অ্যানফিল্ডে গড়াবে রিয়াল-লিভারপুলের প্রথম লেগের লড়াই। হাইভোল্টেজ ম্যাচ ঘিরে চড়েছে উন্মাদনার পারদ, চলছে ইতিহাস-পরিসংখ্যানের চুলচেরা বিশ্লেষণ।

আগে ইউরোপসেরার মঞ্চে দুবার ফাইনালে দেখা হয়েছে রিয়াল ও লিভারপুলের। প্রত্যেকেই একটি করে জয় তুলেছে তাতে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অবশ্য মোট ৯ বার দেখা হয়েছে তাদের। পাঁচ খেলায় জিতে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে অলরেডরা, তিনবার জিতেছে লস ব্লাঙ্কোস দলটি।

এক নজরে দেখে নেয়া যাক আগের লড়াইয়ে দুদলের ইতিবৃত্ত

১৯৮০-৮১ মৌসুম
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পূর্বের নাম ছিল ইউরোপিয়ান কাপ। ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে প্রথমবার মাঠে গড়ায় প্রতিযোগিতাটি। ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে নাম পাল্টে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ হয়ে যায়।

১৯৮০-৮১ মৌসুমের সুখস্মৃতি অলরেড দলটি বারবার মনে করতে চাইবে। ৩১ বছর আগে স্তাদে দে ফ্রান্সে হয়েছিল ফাইনাল। ইংলিশ লেফট ব্যাক অ্যালান কেনেডির ৮১ মিনিটের একমাত্র গোলে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিল লিভারপুল। সেটিই দুদলের প্রথম দেখা এ মঞ্চে।

২০০৮-২০০৯ মৌসুম
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ছিল শেষ ষোলোর প্রথম লেগের খেলা। ৮২ মিনিটে ইয়সি বেনায়নের করা ম্যাচের একমাত্র গোলে লিভারপুল জয় পায়।

শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে অলরেডদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে রিয়াল। ৪-০ গোলে হয়েছিল বিধ্বস্ত। ফের্নান্দো তোরেস ১৬ মিনিটে স্বাগতিকদের লিড পাইয়ে দেন। স্টিফেন জেরার্ড ২৮ মিনিটে স্পট কিকের পর ৪৭ মিনিটেও বল জালে জড়ান। ৮৮ মিনিটে শেষ গোলটি করেন আন্দ্রেয়া দোসেনা।

২০১৪-২০১৫ মৌসুম
গ্রুপপর্বের ম্যাচে রিয়ালের কাছে ঘরের মাঠে ধরাশায়ী হয় লিভারপুল। ৩-০ গোলে হেরেছিল। সব গোল প্রথমার্ধেই করেছিল হজম। ২৩ মিনিটে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর ৩০ এবং ৪১ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করেছিলেন করিম বেনজেমা।

ফিরতি লেগ ১-০ গোলে রিয়াল জিতে নেয়। ২৭ মিনিটে গোলদাতা ছিলেন যথারীতি বেনজেমা।

২০১৭-২০১৮ মৌসুম
লিভারপুলকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয় রিয়াল মাদ্রিদ। কোচ হিসেবে টানা তিনবার ট্রফি জেতেন জিনেদিন জিদান। রেকর্ড ১৩ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের কীর্তি গড়ে লস ব্লাঙ্কোস দল।

কিয়েভে ম্যাচের ৫১ মিনিটে করিম বেনজেমার গোলে রিয়াল এগিয়ে যায়। চার মিনিট পর সাদিও মানের গোলে অলরেডরা সমতায় ফেরে। ৬৪ ও ৮৩ মিনিটে গোল করে ক্লপের দলকে আর ম্যাচেই ফিরতে দেননি গ্যারেথ বেল।

২০২০-২০২১ মৌসুম
এবার দুদল মুখোমুখি হয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। প্রথম লেগ ৩-১ গোলে রিয়াল জিতে নেয়। লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে ভিনিসিয়াস জুনিয়র করেন জোড়া গোল, অপরটি করেন আসেনসিও। লিভারপুলের হয়ে নিশানাভেদ করেন মোহাম্মেদ সালাহ।

অ্যানফিল্ডে ফিরতি লেগের খেলাটি গোলশূন্য ড্র হলে সেমিতে পৌঁছে যায় রিয়াল।

২০২২-২৩ মৌসুম
সমর্থকদের স্টেডিয়ামে ঢুকতে সমস্যার কারণে ৩৬ মিনিট দেরিতে প্যারিসের স্তাদে দে ফ্রান্সে গড়িয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৫৯ মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের লক্ষ্যভেদ এনে দেয় ফল। লিভারপুলকে একমাত্র গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় রিয়াল।