দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও আলমেরিয়ার বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে জিতে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। লেখা হয় মাদ্রিদিস্তা প্রত্যাবর্তনের আরেকটি গল্প। লা লিগার সেই ম্যাচটি ঘিরে বিতর্কও বাড়তে থাকে সমানতালে। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে দুটি গোল পেয়েছিল রিয়াল, আলমেরিয়ার একটি গোল হয়েছিল বাতিল। ম্যাচে মাদ্রিদ রাজারা অনৈতিক সুবিধা পেয়েছে, এমন খবরের ঝড় ওঠে। একটি অডিও ফাঁস হয়, যা নিয়ে চলছে তোলপাড়।
রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ) অডিও ফাঁসের কাণ্ডে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে। রেফারি ফ্রান্সিসকো হোসে হার্নান্দেজ মেসো এবং ভিএআর কর্মকর্তা আলেজান্দ্রো হার্নান্দেজের কথোপকথনের অডিওটি ফাঁস করেন সাংবাদিক জেরার্ড রোমেরো। রিয়ালের ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও আলমেরিয়ার চুমির সংঘর্ষের বিষয়ে রেফারি ও ভিএআর কর্মকর্তার কথা বলছিলেন যেখানে।
ম্যাচ চলাকালীন রেফারির নেয়া সিদ্ধান্ত পাল্টাতে কিংবা মনিটরে রিপ্লে দেখার জন্য ভিএআরের সাহায্য নেয়ার জন্য বলা হয়নি। যদি রেফারিকে মনিটরে রিপ্লে দেখতে পাঠানো হতো, তবে আরএফইএফ গতমাসে আনা একটি নতুন উদ্যোগের অংশ হিসেবে অডিওটি প্রকাশ করত।
বিবৃতিতে আরএফইএফ জানিয়েছে, ‘মঙ্গলবার আমরা রিয়াল মাদ্রিদ এবং আলমেরিয়ার মধ্যকার লা লিগা ম্যাচের সাথে সম্পর্কিত ভিএআর পদ্ধতি থেকে অডিও ফাঁসের পর গার্ডিয়া সিভিলের (স্প্যানিশ পুলিশ) কাছে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছি। এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে সম্পৃক্ত।’
‘আমরা একটি অভ্যন্তরীণ তদন্তও শুরু করেছি এবং উল্লেখিত লঙ্ঘনকে অত্যন্ত গুরুতর বলে বিবেচনা করেছি। আমরা আশা করি, দায়ী ব্যক্তি কে তা স্পষ্ট করতে যতদ্রুত সম্ভব একটি প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাবে। এদিকে, আরএফইএফ’র যোগাযোগের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
রোমেরোর ফাঁস করা অডিওতে শোনা যায়, রেফারি ও ভিএআর কর্মকর্তা ভিনিসিয়াসকে প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড় আলেজান্দ্রো পোজোর কনুই দিয়ে মুখে ধরা নিয়ে কথা বলছিলেন। কিন্তু তারা সিদ্ধান্তে আসেন যে ভিএআরের সাহায্য নেয়ার জন্য ঘটনাটি যথেষ্ট নয়।
আরেক অডিওতে চুমি এবং মাদ্রিদের দানি সেবালোসের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনা শোনা হায়। সংঘর্ষের পরে এ দুই ফুটবলার মাটিতে পড়ে যান। কিন্তু রেফারি ও ভিএআর কর্মকর্তা সিদ্ধান্ত নেন যে ভিএআরের ব্যবহারের দরকার নেই।
আরএফইএফ এবং লা লিগা প্রথমে ডিসেম্বরে ঘোষণা দিয়েছিল, রেফারি এবং ভিএআরের মধ্যকার কথোপকথন দুটি সংস্থার মধ্যে একটি নতুন চুক্তির অংশ হিসেবে প্রকাশিত হবে। পিচ-সাইড মনিটর ব্যবহার করে একটি ঘটনা পর্যালোচনা করা হলে কর্মকর্তাদের মধ্যে যে আলোচনা হয়, তা প্রতিদিনের শেষে সম্প্রচারকারীদের কাছে উন্মুক্ত করা হয়।