সাজিদ হোসেন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদ হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানানো হয়েছে৷
আজ বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) তার ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভায় এই দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল অধ্যাপকের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন অধ্যাপক তাহের। তার মৃত্যুর দীর্ঘদিন পর হত্যা মামলার রায় হলেও সেটি এখনো কার্যকর হয়নি। অবিলম্বে সেই রায় কার্যকরের দাবি জানাই।
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সোহেল কবীর। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম। এছাড়া অন্যদের মধ্যে বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক ড. মো. বদরুল ইসলামসহ অধ্যাপক মো. শফিকুল আলম, অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান, অধ্যাপক সৈয়দ শামসুদ্দিন আহমেদ।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় নৃশংসভাবে হত্যার শিকার অধ্যাপক ড. তাহেরের মৃতদেহ। এর দুই দিন পর ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুতবিচার আদালত চারজনকে মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে বেকসুর খালাস দেন। আসামিরা এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল হাইকোর্ট দুই আসামির ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখেন এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। ওই দুই আসামি নাজমুল আলম ও তার আত্মীয় আব্দুস সালামের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও বহাল রেখেছেন আপিল আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধেও আসামিরা আপিল করেন। পরে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।