গ্রুপ ‘জি’ থেকে আগেই নকআউট নিশ্চিত করেছে পর্তুগাল। শেষ ষোলোর অপর স্থানটি দখলে নিতে লড়বে বাকি তিন দল। উরুগুয়ে-ঘানার কেউ অথবা সাউথ কোরিয়া, সেক্ষেত্রে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোদের বিপক্ষে পূর্ণ তিন পয়েন্ট তুলতে হবে এশিয়ার দেশটিকে। অর্থাৎ, পর্তুগালের গ্রুপে বাকি তিন দলের সামনেই দ্বিতীয় রাউন্ডের পথ খোঁজার মিশন।
হিসেব-নিকেশ, শক্তি-সম্ভাবনার পরিসংখ্যান ঘাঁটলে ঘানা-উরুগুয়ের ম্যাচে দুবারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়েকে ফেভারিট তালিকায় রাখতে হবে। অন্যদিকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রাখতে কোরিয়াকে হারাতে চাইবে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দল। শুক্রবার ভিন্ন স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের দুটি ম্যাচ হবে রাত ৯টায়, নির্ধারণ হবে পর্তুগালের সঙ্গী হয়ে কে যাচ্ছে সেরা ষোলোয়।
এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে রোনালদো-ব্রুনোদের মুখোমুখি হওয়ার আগে শেষ ষোলোর পরিকল্পনা কষেই নামবে সন হিউং মিনের দল। ইতিহাসের বিচারে সেখানে এগিয়ে থাকবে কোরিয়া, তবে আসর ও বর্তমান শক্তিমত্তায় পর্তুগাল ফেভারিট। ২০০২ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল এশিয়ার দেশটি।
দ্বিতীয় রাউন্ডের পথে থাকতে কোরিয়াকে জিততেই হবে পর্তুগালের বিপক্ষে, তারপর তাকিয়ে থাকতে হবে গ্রুপের অন্য খেলা ঘানা-উরুগুয়ের ম্যাচের ফলের দিকে। টেবিলে ৩ পয়েন্ট নিয়ে থাকা ঘানাকে নুনেজ-সুয়ারেজরা হারাতে পারলে ৪ পয়েন্ট হবে উরুগুয়ের। পর্তুগালকে হারিয়ে দিলে কোরিয়ারও একই পয়েন্ট হবে। সেক্ষেত্রে গোল পার্থক্য বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে। উরুগুয়ের চেয়ে সেখানে এগিয়ে কোরিয়া।
সব হিসেবের আগে, উরুগুয়ে ও কোরিয়াকে জিততে হবে। লাতিন দেশটির বিপক্ষে একটি পয়েন্ট তুলতে পারলেই শেষ ষোলোর টিকিট কাটবে ঘানা। সম্ভাবনা তাই সবার আছে। দুটি দলের ইতিহাস যদিও বলছে ভিন্ন কথা। মুখোমুখি একবারের দেখায় ১-১এ ড্র করেছিল ঘানা। উরুগুয়ে সেই ম্যাচটি পেনাল্টি শুট আউটে জিতে নিয়েছে। এবার জীবন-মরণ সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে।
পর্তুগালও ম্যাচটির উপর আলাদা নজর রাখবে। টানা দুই জয় পাওয়া রোনালদোরা গ্রুপপর্ব পেরোতে চাইবেন শীর্ষে থেকে। উরুগুয়ে, সাউথ কোরিয়া ও ঘানা- তিন দলের কে শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করতে পারে তা দেখতে অপেক্ষা কয়েক ঘণ্টার।