ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে শীর্ষে ব্রাজিল। বিপরীতে নেইমারদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে থাকা ক্যামেরুন ৪৩তম স্থানে। দুদলের যোজন ব্যবধানটাও এখানে পরিষ্কার। তাদের মুখোমুখি লড়াইয়ের ইতিহাসেও ব্রাজিলের একচেটিয়া প্রাধান্যের প্রমাণ দিচ্ছে।
৬ বারের দেখায় সেলেসাওরা জিতেছে ৫ বার, একবার ক্যামেরুন। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে দল দুটি প্রথমবার আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ব্রাজিল ৩-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল। ২০ বছর পর ২০১৪ বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে ক্যামেরুনকে ৪-১ গোলে হারায় সাম্বার দেশটি।
রিচার্লিসনের জোড়া গোলে সার্বিয়ার বিপক্ষে হেক্সা মিশনের শুরুটা ক্ল্যাসিক ঢংয়েই করেছে ব্রাজিল। পরের ম্যাচে কাসেমিরোর বাঁ-পায়ের দর্শনীয় গোলে সুইজারল্যান্ডকে পরাস্ত করে সেলেসাওরা। এক ম্যাচ হাতে রেখেই রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা নকআউট পর্বে চলে যায়।
গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ক্যামেরুনকে হারিয়ে এবার জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেই ষষ্ঠবারের মতো ট্রফি উঁচিয়ে ধরার পথে এগোনোর প্রত্যয়ে টিটের শিষ্যরা। আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় লুসেইল স্টেডিয়ামে ব্রাজিল-ক্যামেরুন মুখোমুখি হবে।
গোড়ালির চোটে খেলতে পারবেন না সুপারস্টার নেইমার। লেফট ব্যাক দানিলোও একই কারণে থাকবেন অনুপস্থিত। পেশির চোটে রাইট ব্যাক অ্যালেক্স সান্দ্রো ক্যামেরুনের বিপক্ষে নামতে পারছেন না। দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার স্বস্তি থাকলেও টিটেকে দল সাজাতে খানিকটা বেগ পেতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম খেলায় হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে সার্বিয়াকে ৩-৩ গোলে রুখে দেয় ক্যামেরুন। ফলে নকআউটে যেতে ব্রাজিলের বিপক্ষে অঘটনের চেষ্টায় থাকতে হবে তাদের। জি গ্রুপের আরেক খেলায় সার্বিয়ার বিপক্ষে সুইজারল্যান্ড জিতে গেলে ক্যামেরুনকে আসর থেকে বিদায় নিতে হবে।