সৌদি আরবের বিপক্ষে হেরে যে দুঃস্বপ্নের শুরুটা হয়েছিল, টানা দুই জয়ে শেষপর্যন্ত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোলোয় গেছে আর্জেন্টিনা। ‘সি’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় দ্বিতীয় রাউন্ডে আলবিসেলেস্তেদের ফ্রান্সের মুখোমুখি হতে হচ্ছে না। মেসিদের প্রতিপক্ষ ‘ডি’ গ্রুপ রানার্সআপ অস্ট্রেলিয়া।
৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় আহমাদ বিন আলী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলায় মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা এবং অস্ট্রেলিয়া।
কাগজে-কলমের হিসেবে আকাশী-নীলরা অনেকটাই এগিয়ে। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে তিন নম্বরে আর্জেন্টিনা। ৩৮তম স্থানে অস্ট্রেলিয়া।
নিকট অতীত বলছে, র্যাঙ্কিংয়ের ৫১তম স্থানে থাকা সৌদির কাছে মেসিরা হেরেছে। টুর্নামেন্টের বাস্তবতায় অস্ট্রেলিয়াকে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই, সেটা ভালোভাবেই উপলব্ধি করছেন মেসি। অংশ নেয়া সব দলকেই সমান দৃষ্টিতে দেখার মানসিকতাও তার কথায় ফুটে উঠেছে।
‘অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা খুবই কঠিন হতে চলেছে। তারা যেকাউকে হারাতে পারে। বিশ্বকাপে সব দলই সমান। আমাদের সবসময়ের মতোই খেলার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে, যা সবসময় আমরা করে থাকি।’
সুদূরপ্রসারী চিন্তা না করে শান্ত থেকে প্রতি ম্যাচ নিয়ে আলাদা চিন্তা করা উচিত বলেই মেসি মনে করেন। তাতে শিরোপা মিলবে বলেও তার বিশ্বাস।
‘এখন আরেকটি বিশ্বকাপ তারকা অর্জনের পালা। আশা করি আমরা আজ পোল্যান্ডের বিপক্ষে যা করেছি, তা বজায় রাখতে পারব।’
বিশ্বকাপ ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো নকআউট পর্বে খেলবে অস্ট্রেলিয়া। এরআগে ২০০৬ সালে দলটি শেষ ষোলোয় খেলেছিল।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে হেরে এবারের আসর শুরু করে অজিরা। পরে তিউনিশিয়া ও শক্তিশালী ডেনমার্ককে হারিয়ে তারা নকআউটে পা দিয়েছে।