ম্যাচের তখন ৩৫ মিনিট। নিখুঁত শটে সামনে থাকা দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন লিওনেল মেসি। তাতে পেশাদার ফুটবলে জাতীয় দল ও ক্লাব ফুটবল মিলিয়ে ১০০০তম ম্যাচের মাইলফলকের রাতে দারুণ কীর্তি গড়ে ফেলেন এলএম টেন। বিশ্বকাপে গোলের হিসেবে কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে ছাড়িয়ে যান, আর্জেন্টিনা অধিনায়কের গোল এখন নয়টি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনা পেয়েছে ২-১ গোলের দুর্দান্ত জয়, উঠেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। পঞ্চমবারের মতো বৈশ্বিক আসরে খেলতে আসা মেসি প্রথমবারের মতো নকআউট পর্বে গোলের দেখা পেলেন। ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও হাতে উঠেছে।
ব্যক্তিগত এসব অর্জন নিয়ে অবশ্য একেবারেই ভাবছেন না ৩৫ বর্ষী মহাতারকা। বরং শিরোপা জয়ের মিশনে এগিয়ে যাওয়ার পর বললেন, ‘আরেকধাপ এগিয়ে যাওয়ায় আরেকটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমি খুবই আনন্দিত। এটা খুব শক্ত এবং কঠিন একটা ম্যাচ ছিল। আমরা জানতাম এমনটাই হতে চলেছে।’
ক্যারিয়ারের হাজারতম ম্যাচ নিয়ে বাড়তি উচ্ছ্বাস নেই মেসির। সাফ জবাব, ‘না, একদম না। উদযাপনের সময় আসেনি।’

গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচ খেলার তিনদিনের মধ্যে আলবিসেলেস্তেদের নকআউট পর্বের লড়াইয়ে নামতে হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কোচ লিওনেল স্কালোনি ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ লুকাননি। মেসিও জানালেন খেলোয়াড়দের সবার জন্য এতো অল্প সময়ে মাঠে নামাটা কতটা কঠিন ছিল।
‘আমাদের খুব বেশি বিশ্রাম নেয়ার সময় ছিল না। আমরা সত্যিই ভালোভাবে সেরে উঠিনি। সবাই চিন্তিত ছিলাম। এটি শারীরিকভাবে আমাদের জন্য খুব কঠিন খেলা ছিল।’
‘যখন আমরা জানতে পারলাম তিন দিনের মধ্যে আবার খেলতে হবে, সবাই বলাবলি করছিলাম এটা পাগলামি। আমরা পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে পারিনি। কিন্তু একই সাথে আমরা টুর্নামেন্টে থাকতে চেয়েছিলাম।’