দখল-দূষণ থেকে নদনদী ও খাল রক্ষায় সব মহলের পাশাপাশি সরকারকেও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু বলেছেন, নদীর প্রতি দায়িত্বশীল আচরণের পাশাপাশি নদী সুরক্ষায় গণজাগরণ গড়ে তুলতে হবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ভিন্নধর্মী আয়োজনে ছিল নদীবিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা ‘কেমন নদী চাই’। এতে দেশের বিভন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় দুই শতাধিক নদীপ্রেমী অংশগ্রহণ করে। যাচাই বাছাই শেষে ৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। বিচারক প্যানেলে ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুণ কিবরীয়া, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের অধ্যাপক অসীম বিভাকর, রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের মোহাম্মদ এজাজ ও পরিবেশ সাংবাদিক মো. সৌমিক আহমেদ।
আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষে আলোচনায়, নদী আইন, নদী রক্ষার আন্দোলন এবং করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ‘সবার জন্য দূষণমুক্ত পানি’।
অনুষ্ঠানে নদী সংরক্ষণে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়। আহ্বান জানানো হয় নদীখেকোদের তালিকা তৈরি করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির।
মুকিত মজুমদার বাবু বলেন: নদীমাতৃক বাংলাদেশে অধিকাংশ নদীই এখন সংকটাপন্ন। স্বার্থান্বেসী মহলের দখল এবং দূষণ নদীগুলোর সংকটের অন্যতম কারণ। সীমান্তের ওপারে বাঁধ দিয়ে পানি প্রত্যাহার করায় নদী শুকিয়ে পলি জমতে জমতে ভরাট হচ্ছে। পানি প্রবাহ সচল রাখা এবং ভাঙন প্রতিরোধও বড় চ্যালেঞ্জ। একই সঙ্গে নদীকে ব্যবহার করছে বর্জ্য ফেলার ভাগাড় হিসেবে। শহর সংলগ্ন নদীগুলোর উপর অত্যাচারের মাত্রা আরো বেশি।
তিনি বলেন, নিজ বাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নদী সম্পর্কে শিক্ষার ব্যবস্থার পাশাপাশি দখলদার ও দূষণকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে নদীপ্রেমীরা বলেন, পরিবেশ ও অর্থনীতি উভয় ক্ষেত্রেই নদীর যে গুরুত্ব, সেসম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
আয়োজনের সহযোগি প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন, ইসাবেলা ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি-বেলা ও বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনসহ ১০টি পরিবেশবাদী সংগঠন। পরে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়।