জাতীয় বনজসম্পদ জরিপের মাঠ কর্মীদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করেছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। প্রশিক্ষণার্থীরা বাংলাদেশের মোট বনজসম্পদ মূল্যায়নের জন্য জরিপ পরিচালনা করবে।
উক্ত প্রশিক্ষণে জাতীয় তথ্য ব্যবস্থার নির্ভুলতা এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য প্রশিক্ষণার্থীদের উন্নত সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। বাংলাদেশই হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ যারা জাতীয় পর্যায়ে বনজসম্পদ জরিপে এসব উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করবে।
শেখ কামাল বন্যপ্রাণী কেন্দ্র গাজীপুরে ৭ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয় যার প্রথম দিনে উপস্থিত ছিলেন এসইউএফএএল (সুফল) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, গোবিন্দ রায়, ড. ডিকি সিমোরাংকির, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ (টিম লিডার, ইএফসিসি টিম), এফএও বাংলাদেশ এবং মোঃ মঈনুদ্দিন খান উপ-প্রধান বন সংরক্ষক- সামাজিক বনায়ন উইং। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাজীপুরের শেখ কামাল বন্যপ্রাণী কেন্দ্রের পরিচালক মোহাম্মদ সোবেদার ইসলাম।
বন বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত বনজসম্পদ জরিপের জন্য মাঠ পরিদর্শনের আগে বন বিভাগের দক্ষ কর্মীদের একটি দলকে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত করা হয়। প্রশিক্ষণটি প্রযুক্তিগত ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির উপর করা হয় এবং বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণকারীদের হাতে-কলমে অত্যাধুনিক কৌশল ও প্রযুক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।
ড. ডিকি সিমোরাংকির, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ (টিম লিডার, ইএফসিসি টিম), এফএও বাংলাদেশ বলেন, স্থায়িত্বের জন্য প্রয়োজন সর্বোত্তম প্রযুক্তি এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির, এফএও উন্নত প্রযুক্তি, দক্ষতা এবং জ্ঞানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সুফল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায় বলেন, বন সম্পদের টেকসই ব্যবহার দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন করতে পারে এবং আমাদের ভূমি রক্ষায় সহায়তা করতে পারে। সুরক্ষিত এবং বেঁচে থাকার প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হচ্ছে মূল্যায়ন করা।
মোঃ মঈনুদ্দিন খান উপ-প্রধান বন সংরক্ষক- সামাজিক বনায়ন উইং বলেন, পুনরুদ্ধার করার প্রচেষ্টা কার্যকর করার জন্য তথ্য-সমৃদ্ধ বন পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করতে এবং এর টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে আমাদের একসাথে কাজ করা উচিত। সম্পূর্ণ জরিপ পদ্ধতি দুটি ভাগে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে: বায়োফিজিক্যাল এবং আর্থ-সামাজিক জরিপ এই প্রশিক্ষণ বনের বায়োফিজিক্যাল উপাদানগুলির সাথে সম্পৃক্ত। মাঠ কর্মীরা পরিমাপ কৌশল কাজে লাগিয়ে সরঞ্জাম ব্যবহার করতে শিখবে এবং বৈজ্ঞানিকভাবে বায়োফিজিক্যাল ইউনিটগুলো মূল্যায়ন করবে। আধুনিক এবং উন্নত কৌশল সমৃদ্ধ পেপারলেস টুলস ব্যবহার করে তারা মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করা শিখবে।