সড়ক দুর্ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিহতের প্রতিবাদে রাজধানীর কাওলার এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। এতে বিমানবন্দর সড়কের দু’পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অভিযুক্ত বাসচালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল (২২ জানুয়ারি) যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের সড়কে বাস চাপায় নিহত হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাদিয়া সুলতানা (১৯)।
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের সড়কে বন্ধুর মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন নাদিয়া। এসময় ভিক্টর পরিবহনের একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে মাটিতে পড়ে যান দুজনই। ঘটনাস্থলেই নাদিয়ার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরে পথচারীরা ঘাতক বাসটি আটক করে। নিহত নাদিয়া সুলতানা নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল তাৎক্ষণিক বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। আজ দুপুর ১২:৩০ টায় আবারও কাওলা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা ভিক্টর পরিবহনের ওই বাসের চালককে গ্রেফতার, নাদিয়ার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া, ভিক্টর পরিবহনের রুট পারমিট বাতিল এবং কাওলা এলাকায় বাস স্টপেজের দাবি জানিয়েছে।
পুলিশ ইতিমধ্যে ঘাতক বাসটির ড্রাইভার ও চালককে গ্রেপ্তার করলেও বাকি তিনটি দাবি আদায় না হওয়ায় অবরোধ তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানায় শিক্ষার্থীরা। প্রায় ৪৫ মিনিট সড়ক অবরোধ করে রাখার পর বাকি তিনটি দাবি আদায়ে পুলিশের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।
রাজধানীর আশকোনায় অবস্থিত বেসরকারি নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগে মাত্র ১৫ দিন আগে ভর্তি হয়েছিলেন শিক্ষার্থী নাদিয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর তিনি উত্তরা এলাকায় থাকতেন। তার পরিবারের সদস্যরা থাকেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায়।