প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিটি মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভায় সভাপতির সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি ব্যক্তির মানবাধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য এবং আমরা তা মাথায় রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
যারা মানবাধিকারের কথা বলছেন এবং দূরবীন দিয়ে গণতন্ত্র খোঁজেন, তাদের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন: তারা (তথাকথিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা) ভুলে গেছেন যে জিয়াউর রহমান দেশে গুম ও হত্যার সংস্কৃতির সূচনা করেছিলেন । মানুষ খুন করে গুম করে ফেলা হতো। জিয়াই দেশে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু করেছিল, আওয়ামী লীগ সরকার তার থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করে দেশে ন্যয় বিচার প্রতিষ্ঠা করেছে।
তিনি বলেন, তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা সর্বদা সামরিক স্বৈরশাসকদের সরকার এবং দেশে জরুরি অবস্থাকালিন সময়কে পছন্দ করেন, কেননা সেই তাদের কদর বেড়ে যায়, তারা অগ্রাধিকার পান । আর সেজন্য তারা যেন দেশের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিটাই ধ্বংস করতে চান। তাদের কর্মকান্ড দেখে মনে হয়, তারা দেশে বলবৎ সামরিক শাসনামলেই গণতন্ত্র খুঁজে পান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী, বিষয়টি আসলেই তাই কি না, তাদের খোলাসা করতে বলেন।
জনতাই তাঁর মূল শক্তি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই জনতার শক্তিতে বলিয়ান হয়েই আগামীতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আজকে যে উন্নয়নশীল দেশ হয়েছে, ২০৪১ সাল নাগাদ তা উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। কাজেই বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবেনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু আওয়ামী লীগই দেশে গণতন্ত্র নিশ্চিত করেছে এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোন্ দল এত ভালোভাবে মানুষের অধিকার রক্ষা করেছে ? করোনাভাইরাস এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমগ্র বিশ্ব সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
তিনি দেশবাসীকে পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে কঠোরতা প্রদর্শন এবং সংকট মোকাবেলায় সঞ্চয় করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
আগামী ২৪ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠেয় দলের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার জাতীয় কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ডায়াসে উপস্থিত ছিলেন।