স্বামী শরিফুল রাজকে তালাকের আবেদন করেছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। গেল সোমবার এই আবেদন করেন তিনি। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে খবরটি প্রকাশ্যে এলে তারকা দম্পতির বিচ্ছেদের খবরটি ‘টক অব দ্য টাউন’-এ পরিণত হয়।
রাজকে পাঠানো পরীর তালাকের আবেদনের কপিও ভাইরাল হয়। যদিও তাদের দুজনের কাউকেই অনলাইন-অফলাইনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। তবে বুধবার রাতে তালাকের আবেদনের বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দীর্ঘ স্ট্যাটাস পোস্ট করেন পরীমণি।
রাজকে তালাকের সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেন তিনি। রাজকে নিয়ে দেয়া তার নিজের একটি পুরনো পোস্টের স্ক্রিনশটও এসময় শেয়ার করেন স্বপ্নজালের এই নায়িকা। সেটি শেয়ার করে পরী লিখেন,“নিশ্চয় এই স্ট্যাটাসের কথা মনে আছে অনেকেরই! সেবারও রাজ পাঁচ দিনের মাথায় বাসায় ফিরে আমার ফেসবুক থেকে এটা ডিলেট করে দিয়েছিলো। তারপর এসব ঘটনা সে পুনরাবৃত্তি করেছে বার বার। সরি বলা, না খেয়ে থাকা, পা ধরে মাফ করে দাও আর হবে হবে না, এমনকি সুইসাইড এর মতো হুমকিতেও ব্ল্যাকমেলের শিকার হতে হয়েছে আমাকে!”
এসময় পরী রাজের উদ্দেশে অভিযোগ তুলে বলেন,“একইরকম ভুলের ক্ষমা কতো বার করা যায় আমি জানি না। আমি শুধু সব ভুলে সুন্দর স্বাভাবিক একটা পারিবারিক সম্পর্ক চেয়েছিলাম। কিন্তু সে কখনোই এই সম্পর্কটাকে ওউন করেনি। সবার সামনে আমার বৌ, আমার বাচ্চা করে বেড়ানো ভয়ংকর মানুষ একজন। যে কিনা এই সম্পর্কটাকে শুধু নিজের স্বার্থে ইউজই করে গেলো প্রতিনিয়ত!”
রাজকে সুযোগ দিয়েছেন জানিয়ে পরী আরও লিখেন,“আমি এমন ভয়ংকর একজন মানুষকে বার বার সুযোগ দিয়েছি।সেও সুযোগ পেতো কারন আইনগত ভাবে তার সাথে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। এসবে বারবার আমি অসন্মানিত হয়েছি আপনাদের কাছেও। আমাকে ক্ষমা করবেন। আমি তাকে অফিসিয়ালি ডিভোর্স দিয়েছি। খুবই স্বাভাবিক ওয়েতে। এটাও তাকে আমার এক প্রকার ক্ষমা করে দেয়া। না হয় আমার সাথে যে অন্যেয়গুলো করেছে তাতে তার জেল হওয়ার কথা।”
এই দম্পতির ঘরে গেল বছর জন্ম নেয় রাজ্য। যার বয়স প্রায় ১৩ মাস। দাম্পত্য কলহের মধ্যেও নিজের সন্তান নিয়ে সচেতন পরী। জানালেন,“আমার ছেলের যাবতীয় খরচ, মানে ভরণপোষণ থেকে আগামীতে পড়াশোনা যা কিছু আছে সব আমি বহন করবো। এতো দিন যেভাবে করেছি। বাচ্চার ফুল গার্ডিয়ান শিপ এখন তার মা’র। এ বিষয়ে যা কিছু বলার আমার আইনজীবীরা বলবেন।”