
পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও ভোগান্তি রোধে ভূমি বন্টননামা ডিজিটালাইজড করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভূমি সেবা ডিজিটালাইজ করে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার কারণে ভূমি ব্যবস্থাপনা সহজ হয়েছে। এর ফলে প্রতিদিন পাঁচ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হচ্ছে। এ পর্যন্ত সরকারি কোষাগারে জমা পড়েছে ৭৭০ কোটি টাকা।
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় ভূমি সম্মেলন-২০২৩ ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাতটি প্রকল্পের উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা তুলে ধরা এবং ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশনের ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জগুলো খুঁজে বের করে তা মোকাবেলায় করণীয় নির্ধারণ করতে, দেশে প্রথমবারের মতো ৩ দিনের ভূমি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সম্মেলন উদ্বোধন করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাতটি উদ্যোগ, লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে স্থাপন করা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্মৃতিস্তম্ভ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব গুচ্ছগ্রাম কমপ্লেক্সসহ জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে রেজিষ্ট্রেশন-মিউটেশন আন্ত:সংযোগ, স্মার্ট ভূমি নকশা, স্মার্ট ভূমি রেকর্ডস, স্মার্ট ভূমি পিডিয়া, স্মার্ট ভূমিসেবা কেন্দ্র এবং নব নির্মিত ৪০০টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস উদ্বোধন করেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, হয়রানি ছাড়াই মানুষ এখন ভুমি সেবা পাচ্ছে। পারিবারিক দ্বন্দ্ব দূর করতে ভুমি বন্টননামা ডিজিটালাইজড করুন।
বিএনপি শুধু ধ্বংসের রাজনীতি করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্যদিকে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য। রূপকল্প-২০২১ সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে বর্তমান সরকার। এখন উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে কাজ চলছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।