মঙ্গলবার ব্রাজিলের একটি ক্লাবের ফুটবলারসহ কলম্বিয়ায় একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। বলিভিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া ফ্লাইটটিতে ব্রাজিলের ফুটবল ক্লাব শ্যাপেকোয়েন্সের খেলোয়াড়রা ছিলেন। তারা অ্যাটলেটিকো নেসিওনালের বিপক্ষে কোপা সুডামেরিকার ফাইনাল খেলতে মেডিলিনে যাচ্ছিলেন।
এই ঘটনার আগেও ক্রীড়াঙ্গনে এই ধরনের অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে। ১৯৪৮ সালে প্যারিস থেক লন্ডন যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পড়ে প্রাণ হারান চেকোস্লাভিয়ার ৬ জন হকি খেলোয়াড়। পরের বছর আরেকটি বিমান দুর্ঘটনায় ইতালির ক্লাব তুরিনোর সিনিয়র টিমের সব সদস্যই মারা যান।
সোভিয়েত আমলে ১৯৫০ সালে মস্কোতে এক বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মারা যায় আইস হকি দলের সব সদস্য। এর ছয় বছর পর প্রাগ থেকে জুরিখে যাওয়ার পথে চেকোস্লাভিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় মারা যায় আইস হকি দল। একই বছর অর্থাৎ ১৯৫৬ সালে কানাডিয়ান একটি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান সেদেশর পাঁচজন ফুটবলার।
১৯৫৮ সালে বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে সফল দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। মিউনিখের সেই দুর্ঘটনায় ক্লাবের তিন কর্মকর্তা ছাড়াও নিহত হয়েছিলেন ম্যানইউ’র ৮ ফুটবলার। ১৯৬০ সালে আরেক দুর্ঘটনায় মারা যান ডেনমার্কের আট ফুটবলার।
১৯৬১ সালে এক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাগ থেকে ফেরার পথে নিহত হয় মার্কিন স্কিটিং টিমের সবাই। একই বছর চিলিতে এক দুর্ঘটনায় নিহত হয় দেশটির ৮ ফুটবলার।
১৯৬৯ সালে বলিভিয়ায় এক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হয় দলটির ১৬ ফুটবলারেরর সবাই। পরের বছর যুক্তরাষ্ট্রে এক দুর্ঘটনায় কোচ সহ নিহত হয় এক মার্কিন গােল্ডন ঈগল অ্যাভিয়েশন টিমের ১৪ ফুবলার। একই বছর গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মার্শাল বিশ্ববিদ্যালয় টিমের সব সদস্য নিহত হয়।
১৯৭৯ সালে সোভিয়েত আমলে দুর্ঘটনায় উজবেকিস্তানের তাজখন্দ ক্লাবের পুরো টিমের সদস্যরা নিহত হয়। পরের বছর আরেক দুর্ঘটনায় নিহত হয় মার্কিন বক্সিং দলের ১৪ সদস্য। ১৯৮৭ সালে পেরু নেভি টিমের সব সদস্য, ১৯৮৯ সালে সুরিনাম টিমের সবাই নিহত হয়।
ফুটবল অঙ্গণে সবচেয়ে দুঃখজনক দুর্ঘটনা ঘটে ১৯৯৩ সালে। জাম্বিয়া এয়ারফোর্সের একটি বিমান আটলান্টিক মহাসাগরে বিধ্বস্ত হলে নিহত হন দেশটির বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলতে যাওয়া টিমের সবাই।