র্যাবের নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নষ্ট হবে না জানিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, র্যাবের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের বিষ্ময় দেখে তারাই বিষ্মিত। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের কোন পছন্দ নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোন দলের পক্ষ নেয় না। তবে নির্বাচন আন্তর্জাতিক মানের হবে বলে আশা করি।
শুক্রবার ১৭ জুন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের নতুন সংযোজন সাক্ষাৎকারভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘অ্যাম-টক’-এর প্রথম পর্বের অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস কথা বলেন নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা, গণতন্ত্র আর মানবাধিকার ইস্যুতে।
পিটার হাস বলেন, আমাদের দেশের গণতন্ত্রও পারফেক্ট না। আমাদের নির্বাচন নিয়ে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। কেস হয়েছে। এগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। আমি পরিস্কার করতে চাই, বাংলাদেশের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের কোন পছন্দ নেই। আমাদের কোন ভোট নেই। আমরা কোন দলকে বা প্ল্যাটফর্মকে পক্ষ নেই না। সেটা আমাদের ভূমিকা না। আমরা শুধু দেখতে চাই, এমন একটা নির্বাচন যেটা আন্তর্জাতিক মানের হবে এবং যেখানে বাংলাদেশের মানুষ তাদের পরবর্তী নেতৃত্ব বেছে নিতে পারবে।
তিনি বলেন, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে শুনতে পাচ্ছি বাংলাদেশ বিষ্মিত। আমরা তাদের বিষ্ময় দেখে বিষ্মিত। ২০১৮ থেকেই আমরা র্যাবকে প্রশিক্ষণ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কারণ আমাদের মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ ছিলো। কয়েক বছর ধরে আমরা আমাদের মানবাধিকার প্রতিবেদনে সেটা উল্লেখও করেছি। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও জানিয়েছি। অনেকে জানতে চান, এতে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নষ্ট হবে কিনা। আমি বলি, কখনই না।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, জিএসপি ও ডিএফসি পেতে যা যা করতে হয়, দুর্ভাগ্যজনক বাংলাদেশ এখনো সেসব পূরণ করেনি। কিন্তু তারা ক্রমাগতভাবে জিএসপি বাধা তুলে নিতে বলছে। জিএসপি ও ডিএফসি ফিরে পেতে আমরা উদ্যোগ অব্যাহত রাখব।
তিনি বলেন, অংশীদারত্বের বিষয়টিকে বাংলাদেশ যত দ্রুত এগিয়ে নেবে, আমরাও ঠিক ততটা দ্রুত এগিয়ে যেতে প্রস্তুত।