চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

এই প্রাণহানির দায় কার

পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীতে তীর্থযাত্রীবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় এখনও মরদেহ উদ্ধার হচ্ছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত শিশু ও নারীসহ ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ।

চ্যানেল আইয়ের প্রতিবেদনে জানা যায়, মহালয়া অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রোববার দুপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা করোতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাট থেকে যাচ্ছিলেন ওপারের বদেশ্বরী মন্দিরে। শ্যালো চালিত একটি নৌকায সেসময় শতাধিক যাত্রী নিয়ে মাঝ নদীতে ডুবে যায়।

প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, মর্মান্তিক এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ দুর্ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি জরুরি তথ্যের জন্য খোলা হয়েছে তথ্য কেন্দ্র।

দেশের বিভিন্ন স্থানের মতোই এ ঘাটেও অনিয়ম চলছিল বলে প্রতীয়মাণ। নাহলে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করে নদীতে নৌকা চলাচল করে কীভাবে? তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে সেসব উঠে আসবে বলেই আমাদের আশাবাদ। তবুও এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর নিশ্চয়ই এদিকে খেয়াল রাখা হবে। ভবিষ্যতে যাতে এমন নির্মম ঘটনা আর না ঘটে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।

আমরা মনে করি, স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের এক্ষেত্রে আরও বেশি দায়বদ্ধ হতে হবে। কোনভাবেই যেন অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করে ছোট নৌকা চলাচল করতে না পারে। যেকোন বাহনের ক্ষেত্রেই একই কথা প্রযোজ্য। পূণ্যার্থীদের এ যাত্রায় স্থানীয় প্রশাসনের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রয়োজন ছিল। একইসাথে যাত্রীদেরও সচেতনতা জরুরি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে এসব দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।

পঞ্চগড়ে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় দুর্গাপূজার আনন্দ এখন বিষাদে পরিণত হয়েছে, যা কখনোই কাম্য ছিল না। এ ঘটনায় আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। একইসাথে হতাহতদের ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসাসহ মানবিক সহায়তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।