শুরুতে দুই ওপেনারকে দ্রুত হারানোর ধাক্কা সামলে দারুণভাবে হাল ধরেছিলেন বাবর আজম ও ফখর জামান। দুজনই তুলে নেন ঝড়ো ফিফটি। বাকিদের ব্যর্থতায় শেষপর্যন্ত অবশ্য পেরে উঠেনি শাহিন আফ্রিদির দল। অ্যাডাম মিলনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে সফরকারীদের হারিয়ে টি-টুয়েন্টি সিরিজ জয়ের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড।
হ্যামিল্টনে রোববার দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২১ রানের জয় তুলেছে স্বাগতিক দল। ১৯৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটে নেমে পাকিস্তান ৩ বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যায় ১৭৩ রানে। শেষদিকে ১৫ বলে ৪ উইকেট হারায় আফ্রিদির দল। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে টানা দুই জয়ে ২-০তে এগিয়ে গেল কিউইবাহিনী।
টসে জিতে আগে বল করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক শাহিন আফ্রিদি। শুরুটা ভালোই করে নিউজিল্যান্ড। প্রথম উইকেটের পতন হয় ৫৯ রানে। ১৫ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন ডেভন কনওয়ে।
তিনে নামা কিউইদের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও ১৫ বলে ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠের বাইরে যেতে হয় তাকে, হ্যামস্ট্রিং চোটে পড়ে আর মাঠে ফিরতে পারেননি ৩৩ বর্ষী তারকা। তার ইনিংসে তিনটি চার ও একটি ছক্কার মার ছিল।
১০ বলে ১৭ রান করেন ড্যারিল মিচেল। ৯ বলে ১৩ রান করে আউট হন গ্লেন ফিলিপস। মিচেল স্যান্টনার ১৩ বলে ২৫ রান করে রানআউট হন। শেষদিকে দ্রুত কয়েকটি উইকেট পড়লেও ১৯৪ রানের চ্যালেঞ্জ দাঁড় করায় কিউই দল। ৪১ বলে ৭টি বাউন্ডারি এবং ৫ ছক্কায় ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন ফিন অ্যালেন।
পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ নেন ৩ উইকেট এবং ২ উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি।
১৯৫ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তান ১০ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারায়। শুরুটা খারাপ হলেও ধাক্কা কাটে বাবর ও ফখরের ব্যাটে ভর করে। উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন দুই ব্যাটার, রানও তুলতে থাকেন দ্রুত। ৯৭ রানের সময় ২৫ বলে ৫০ করে ফখর আউট হলে আবারও চাপে পড়ে দলটি।
পরে বাবরের ব্যাটে ভর করে জয়ের লক্ষ্যেই এগোতে থাকে পাকিস্তান। সতীর্থরা উইকেটে টিকতে না পারলেও বাবর চেষ্টা করেন রানের গতি ধরে রাখতে। ১৫৩ রানে বাবর ফিরলে সেই আশাটুকুও শেষ হয়ে যায়। ৪৩ বলে ৬৬ করে ফেরেন বাবর।
শেষদিকে অধিনায়ক শাহিন কয়েকটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আবারও জয়ের আশা দেখান। ১০ বলে ৩০ রান করার সমীকরণ রেখে তিনি আউট হন। বাকিরা বোর্ডে তুলতে পারেন আর মাত্র ৮ রান। ২১ রানে জয় পায় নিউজিল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে অ্যাডাম মিলনে একাই নেন ৪টি উইকেট, দুটি করে উইকেট নেন বেন সিয়ার্স, ইশ সোধি ও টিম সাউদি।