অর্থনৈতিক মন্দার কারণে শপিং মল ও বাজারগুলো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাঁজা আসিফ বলেছেন, এ পদক্ষেপে দেশের কয়েকশ’ মিলিয়ন কোটি রুপি সাশ্রয় হবে। পাকিস্তান আমদানি করা জ্বালানি ব্যবহার করে এরচেয়ে বেশি আয় করতে পারবে।
গত বছরে বৈশ্বিক উর্ধ্বগতির জন্য সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি তাদের অর্থনীতিতে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছে। এই শক্তি ফিরিয়ে আনতে প্রচুর বিদেশী মুদ্রা আমদানির প্রয়োজন। বিশেষ করে মার্কিন ডলার। গত বছরে পাকিস্তানের রিজার্ভ ৫০ শতাংশ কমে যাওয়ায় ১১.৭ বিলিয়ন বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়। এটি দেশের সমস্ত আমদানির প্রায় এক মাসের সমপরিমাণ ব্যয় বহনে যথেষ্ট।
মন্ত্রী আসিফ গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন, “তাদের বিদ্যুতের ৩০ শতাংশ সাশ্রয়ের জন্য শপিং মল এবং বাজারগুলো স্থানীয় সময় ২.৩০ এর মধ্যে বন্ধ করতে হবে। জুলাইয়ের শুরুতে বৈদ্যুতিক পাখা উতপাদন নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানিয়েছে তারা।
ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-এন (পিএমএল-এন) এক টুইটারে বলেছে, “ফেডারেল মন্ত্রীসভা অবিলম্বে শক্তি সংরক্ষণ পরিকল্পনা প্রয়োগের অনুমোদন নিয়েছে।”
২২০ মিলিয়ন মানুষ বসবাসকারী দেশটি তার অর্থনীতি স্থিতিশীল করার জন্য বছরের পর বছর সংগ্রাম করে যাচ্ছে। ২০১৯ সালে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে ৬ বিলিয়ন বেল আউট পেয়েছে। যেখানে গত বছরের আগস্টে ১.১ বিলিয়ন পেয়েছিল। পাকিস্তান সরকার আরও ১.১ বিলিয়ন ডলারের অর্থ পেতে আইএমএফের সঙ্গেও আলোচনা করেছে।
অন্যদিকে গত বছর দেশটিতে ভয়াবহ বন্যার কারণে পাকিস্তানের অর্থব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বন্যার কারণে দেশটিতে ৪০ বিলিয়ন ক্ষতি হয়েছে বলে বিশ্বব্যাংক অনুমান করেছে।