চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দেশে পৌঁছেছেন। গত চারদিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিছু সমঝোতা চুক্তি করেন। দুই দেশের রাজনীতি অর্থনীতিতে এই চুক্তিগুলো ফলপ্রসূ অবদান রাখবে বলে আমরা আশা করি।
ভারতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের সময় যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে তার প্রকাশিত বিবরণে দুই প্রতিবেশীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রকৃত রূপ আবারও প্রতিফলিত হয়েছে। বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা ও আতিথেয়তা জানানোর পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে পারস্পরিক স্বার্থ ও সহযোগিতার প্রশ্নে আলোচনার পর সই হয়েছে সাতটি সমঝোতা স্মারক।
যেসব বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে: অভিন্ন নদী কুশিয়ারা থেকে পানি প্রত্যাহার, ভারতে বাংলাদেশের রেলকর্মীদের প্রশিক্ষণ, বাংলাদেশ রেলওয়ের আইটি সিস্টেমে ভারতের সহযোগিতা, ভারতে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল অফিসারদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে ভারতের কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর) ও বাংলাদেশের কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (বিসিএসআইআর) মধ্যে সমঝোতা, মহাকাশপ্রযুক্তিতে সহযোগিতা এবং প্রসার ভারতী ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) মধ্যে সম্প্রচার সহযোগিতা।
অবকাঠামো নির্মাণ, কল্যাণমূলক কর্মসূচি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির রাজনৈতিক সুফল পেতে ঢাকার আরও চাওয়া আছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সফরকে তাঁর আগামী নির্বাচনের জন্য আলাদা গুরুত্বের সঙ্গে দেখেছেন অভিজ্ঞমহল এবং দিল্লির নেতৃত্বের প্রতি বাংলাদেশের জন্য দৃশ্যমান সহায়তা দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে অযথা বাগাড়াম্বর না করে আমরা কী অর্জন করতে পেরেছি সেটাই দেখার বিষয়। আমরা মনে করি, আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে উল্লেখযোগ্য অর্জন হয়েছে। ভারতের সাথে সম্পাদিত চুক্তিগুলো বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আগামীতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এবং পারস্পারিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ -ভারত একটি নব দিগন্ত সূচনা করবে এই অঞ্চলে আমরা এই প্রত্যাশাই করি।