বিয়ের দ্বিতীয় দিনে টাকাপয়সা ও গয়না নিয়ে পালিয়ে গেল কনে। নগদ দেড় লক্ষ টাকা এবং কিছু গয়না তিনি নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। পরিকল্পনা করেই চুরির জন্যই তরুণী এই বিয়ে করেছিল বলে ধারণা করছে পুলিশ। উত্তর ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের বিলাসপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে এ ঘটনা জানা গেছে।
জানা যায়, এ ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন অশোক কুমার নামের এক ব্যক্তি। তিনি জানিয়েছেন, নিজের ছোট ছেলের জন্য পাত্রী খুঁজছিলেন তিনি। এসময় মঞ্জু নামের এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। মঞ্জু জানান, অশোকের পুত্রের জন্য উপযুক্ত পাত্রীর খোঁজ তার কাছে আছে। পাত্রীর নাম প্রীতি। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। তাই বিয়ের জন্য কোনও যৌতুক তারা দিতে পারবেন না। অশোকও যৌতুক নিতে চাননি। তাই বিয়ের কথা পাকা হয়ে যায়। তরুণীর পরিবারকে এক লক্ষ টাকা এবং কিছু জামা-কাপড় দিয়ে সাহায্যও করেন অশোক।
এরপর গত ২৬ জুলাই আদালতে অশোকের ছেলের সঙ্গে প্রীতির বিয়ে হয়। বিয়ের দিন রাতে পারিবারিকভাবে উদ্যাপন করা হয়েছিল। তবে পরের দিন সকাল থেকে কনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বুঝতে পারেন, টাকা এবং গয়নাগাটি নিয়েই পালিয়ে গিয়েছেন প্রীতি।
এ ঘটনায় মঞ্জুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন অশোক। তিনি প্রীতির খোঁজ করবেন বলে আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু অন্যত্র কনের খোঁজ করতে গেলে অশোককে খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
অশোকের দাবি, তার টাকা হাতানোর জন্যই বিয়ে করেছিলেন প্রীতি। অন্য অনেকেই এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে রয়েছেন। মঞ্জু, প্রীতি এবং আরও একজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।