আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর দলের ভবিষ্যত নিয়ে বলেছেন তামিম ইকবাল। ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু হতে ছয় মাসও বাকি নেই। অবধারিতভাবে বিশ্বকাপের দল নিয়েও তামিমের কাছে ছুটে যায় প্রশ্ন।
সাত নম্বর পজিশনে কে ব্যাট করে ফিনিশারের ভূমিকা পালন করবেন, তা বাংলাদেশ দলে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয়গুলোর একটি। নির্দিষ্ট উত্তর আপাতত তামিমের কাছেও নেই।
‘এখনও এক দুটি জায়গা নিয়ে ভাবছি আমরা। (সাত নম্বরের জন্য) আফিফ আছে, ইয়াসির আছে, রিয়াদ ভাই আছেন। যে সবচেয়ে মানানসই হবে, তাকে বিবেচনা করা হবে। অবশ্যই রিয়াদ ভাইয়ের অভিজ্ঞতা বড় ব্যাপার। আফিফের এমনকিছু আছে, যা খুব বেশি বাংলাদেশি খেলোয়াড়ের মধ্যে নেই। ওর ব্যাটিং উপভোগ করি। ইয়াসিরের ক্ষেত্রেও একই কথা। এখনও কিছু ঠিক করে রাখিনি। এশিয়া কাপ এলে বুঝে নিতে পারবেন, বিশ্বকাপের দল কেমন হবে।’
ফিনিশার পজিশনের পাশাপাশি তৃতীয় ওপেনার কে হবেন, সেটিও চূড়ান্ত নয়। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে রনি তালুকদারের অভিষেক হয়েছে। ডানহাতি ব্যাটার ১৪ বলে ৪ রান করে আউট হন।
টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক বললেন, ‘বেশিরভাগ সময় আমি আর লিটনই ওপেন করি। এ ম্যাচে রনি ওপেন করেছে। যদিও রান পায়নি। একটা মানুষকে এক ম্যাচ সুযোগ দিয়ে বদলে ফেলা কতটা যুক্তিযুক্ত, আমি জানি না। সব আমার হাতেও নেই। এখানে আমার সীমাবদ্ধতা আছে। বিশ্বকাপ দল নিয়ে ভাবার জায়গা এটাও একটা। আর ৬-৭ নম্বরেও খেলোয়াড় দেখছি আমরা।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগামী মাসেই ঘরের মাঠে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ফরম্যাটে বিশ্বকাপের আগে কারো অভিষেকের সম্ভাবনা কম বলেই তামিম জানালেন।
‘আমাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখন থেকে আস্তে আস্তে কমিয়ে আনা দরকার। কারণ যে ১৫টা ছেলে বিশ্বকাপে থাকবে, তাদের সুযোগ দিতে হবে। পাশাপাশি এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে, যারা ১২ থেকে ১৫ তাদেরও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ম্যাচ খেলানো উচিৎ। জানেন না বিশ্বকাপের একটা পর্যায়ে কী হবে। সাকিবের যেটা হল, আজকে একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইনজুরি হয়ে গেল। এখন আমি ওর জায়গায় যাকে খেলাব, তাকে ম্যাচ টাইম না দিয়ে সাথে সাথে এসে বলি যে পারফর্ম করতে হবে, সেটা ঠিক না।’