ইডেনের পিচ যেন পড়তে পারেননি প্রোটিয়ারা, টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়ে পড়ে যান চাপে। গ্রুপপর্বে দাপট দেখানো সাউথ আফ্রিকা নিস্তেজ শুরু করে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের তোপে পড়েন বাভুমা-ডি ককরা, খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলে সেঞ্চুরি করেছেন ডেভিড মিলার। তার অনবদ্য শতকে অজিদের ২১৩ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে সাউথ আফ্রিকা।
রোববার ফাইনালে ভারতের সঙ্গী হওয়ার লড়াইয়ে টসে জিতে আগে ব্যাটের সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ব্যাটে নেমে ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে ২১২ রানে গুটিয়ে যায় তার দল।
কলকাতায় বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিতে শুরুতেই চাপে পড়ে সাউথ আফ্রিকা। মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজেলউডের জোড়া শিকারে ২৪ রানে ৪ টপঅর্ডার ব্যাটারকে হারায়। ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক বাভুমা (০) নিজে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কুইন্টন ডি কক (৩), এইডেন মার্করাম (১০) ও রসি ফন ডার ডুসেন (৬) জ্বলে উঠতে পারেননি।
১১.৫ ওভারে দলীয় ২৪ রানে ৪ ব্যাটার হারিয়ে চাপে পড়া প্রোটিয়াদের হাল ধরেন হেইনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। খেলা ১৫ ওভার গড়ানোর আগেই হানা দিয়েছিল বেরসিক বৃষ্টি। ইনিংসের ১৪তম ওভার শেষ হওয়ার পর বৃষ্টি নামে। বৃষ্টি আগে সাউথ আফ্রিকার সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান। ক্লাসেন ৮ বলে ১০ রানে ও মিলার ৭ বলে ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
৩৮ মিনিট পর ফের খেলা গড়ায়। বৃষ্টিতে সময় বেশি নষ্ট না হওয়ায় ওভার কাটা যায়নি। ফিরে জুটিতে ৯৫ রান তোলেন ক্লাসেন-মিলার। ৩১তম ওভারে ক্লাসেনকে ফেরান ট্রাভিস হেড। চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৪৮ বলে ৪৭ রান করেন তিনি।
ক্লাসেন আউট হওয়ার পরের বলেই গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরে যান মার্কো জানসেন। পরে জেরাল্ড কোয়েটজিকে নিয়ে ৫১ রানের জুটি গড়েন মিলার। ৪৪তম ওভারে প্যাট কামিন্স ৩৯ বলে ১৯ রান কর কোয়েটজিকে ফেরান। ৪৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ১৯১ রানে কেশব মহারাজকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান স্টার্ক। ৮ বলে চার রান করেন মহারাজ।
৪৮তম ওভারে বল করতে এসেছিলেন প্যাট কামিন্স। শর্ট লেন্থের একটি ডেলিভারি পুল শটে মিডউইকেট অঞ্চলের উপর দিয়ে গ্যালারিতে পাঠিয়ে দেন মিলার। ৯৪ মিটার লম্বা ছক্কার সুবাদে পৌঁছে যান সেঞ্চুরিতে। আটটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ১১৫ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মিলার। পরের ডেলিভারিতে ওয়াইড দিয়ে বসেন কামিন্স। ওভারের দ্বিতীয় বলে স্কয়ার লেগ অঞ্চলের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ট্রাভিস হেডের হাতে ধরা পড়েন মিলার। সেঞ্চুরির পর আর কোনো রান যোগ করতে পারেননি, থামেন ১০১ রানে।
৪৯.৪ ওভারে রাবাদাকে ফিরিয়ে প্রোটিয়াদের ইনিংস গুটিয়ে দেন কামিন্স। ১২ বলে ১০ রান করেন রাবাদা। ৫ বলে ১ রানে অপরাজিত থাকেন তাবরাইজ শামসি।
অজিদের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স। জশ হ্যাজেলউড ও ট্রাভিস হেড নেন দুটি করে উইকেট।