মাস্টার ব্লাস্টার শচীন টেন্ডুলকারের ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ৪৯ সেঞ্চুরির রেকর্ড ছুঁয়েছেন সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি। বিশ্বকাপে নিজের ৩৫তম জন্মদিনে অনন্য কীর্তিতে নাম লিখিয়েছেন ডানহাতি এ ব্যাটার। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে কিং কোহলি ৪৯তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘এক্স’-এ অভিনন্দন বার্তা দেন শচীন।
কিংবদন্তি এ ক্রিকেটার নিজের বয়সের প্রসঙ্গ টেনে রসিকতাও করেন। লিখেছেন, ‘ভালো খেলেছে বিরাট। এ বছরের শুরুতে ৪৯ থেকে ৫০-এ যেতে আমার ৩৬৫ দিন লেগেছে। আশা করি তুমি ৪৯ থেকে ৫০-এ যাবে এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমার রেকর্ড ভাঙবে। অভিনন্দন!!’
ক্যারিয়ারের ২৭৭তম ইনিংসে মাইলফলকে পৌঁছান কোহলি। ৪৫২ ইনিংসে ৪৯ সেঞ্চুরি করে শচীন অবসরে গেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোহলির মোট সেঞ্চুরি এখন ৭৯টি, টেস্টে ২৯ ও টি-টুয়েন্টিতে একটি শতক আছে তার।
শচীনের বার্তা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে আবেগাক্রান্ত কোহলি বলেন, ‘টেন্ডুলকারের বার্তাটি একেবারেই বিশেষ। আমার জন্য এটা এখনই গ্রহণ করা অনেক বড় কিছু।
‘সত্যি কথা বলতে, একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার নায়কের রেকর্ডের সমান হওয়াটা আমার জন্য বিশাল এক সম্মানের বিষয়। আমি জানি যে মানুষ তুলনা করতে পছন্দ করে। আমি কখনোই তার মতো ভালো হতে পারবো না।’
‘আমরা সবাই তার দিকে তাকিয়ে থাকি, সেটির একটা কারণ আছে। ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে তিনি নিখুঁত। আমার সেরাটা দেয়ার, দেশের হয়ে ম্যাচ জেতার চেষ্টা করছি। যাই ঘটুক না কেন, তিনি সবসময় আমার নায়ক হয়ে আছেন। এটা আমার জন্য খুবই আবেগপূর্ণ মুহূর্ত।’
‘আমি কোন অবস্থান থেকে উঠে এসেছি তা জানি। অতীতের দিনগুলোতে আমি তাকে টিভিতে খেলতে দেখেছি। তাই এখানে দাঁড়িয়ে তার মতো কারোর কাছ থেকে প্রশংসা পাওয়া আমার কাছে অনেক অর্থবহ।’
কোহলির এখন পর্যন্ত চলতি ওয়ানডে বিশ্বকাপে আট ম্যাচে ১০৮.৬০ গড়ে চারটি হাফ সেঞ্চুরি ও দুই সেঞ্চুরিসহ করেছেন দ্বিতীয় সর্বাধিক ৫৪৩ রান।
সবচেয়ে বেশি রান করা সাউথ আফ্রিকার কুইন্টন ডি ককের সংগ্রহ ৫৫০ রান।
ওয়ানডে ফরম্যাটে ২০২৩ সালে ভারতের সাবেক অধিনায়কের ব্যাট রীতিমতো হাসছে। ২১ ইনিংসে ৭২.১৮ গড়ে ৯৯.৮২ ছয় হাফ সেঞ্চুরি ও পাঁচ সেঞ্চুরিসহ করেছেন ১,১৫৫ রান। এক পঞ্জিকাবর্ষে অষ্টমবারের মতো ওয়ানডেতে এক হাজারের অধিক রান করেছেন। শচীনের সাতবার করা এই রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছেন টিম ইন্ডিয়ার মহাতারকা।
ফর্মের তুঙ্গে থাকা নিয়ে কোহলির ভাষ্য, ‘আমি নিজেকে উপভোগ করছি,। আমি এটা থেকে যে শিক্ষা নিতে পারি তা হল, আপনি এখনও আপনার অভিজ্ঞতার কারণে রান করতে সক্ষম। ঈশ্বর আমাকে আবার সেই আনন্দ দিয়ে আশীর্বাদ করেছেন। তাতে আমি আনন্দিত। যে কাজগুলো এত বছর ধরে করেছি, তা আবার করতে পারছি।’