ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরুর আগেই আগেই অনুমিত ছিল, দর্শকরা দেখতে চলেছে রান উৎসব, হয়েছেও তাই। তবে ব্যাটিংবান্ধব পিচে বোলারদের গলায় বারবার উঠেছে উইকেটের মালা।
একদিনের ক্রিকেটের বিশ্ব আসরটি বোলারদের জন্য ছিল অগ্নিপরীক্ষা। এর মাঝেও দেখা গেছে অসাধারণ কিছু বোলিং পারফরম্যান্স। পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, উইকেট শিকারিদের তালিকার সেরা দশে পেস বোলারদের আধিক্য।
রোমাঞ্চকর ফাইনালের মধ্য দিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের পর্দা নেমেছে। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে দেড়মাস ধরে চলা লড়াই শেষে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছে অস্ট্রেলিয়া। একনজরে দেখা যাক সদ্য শেষ হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে শীর্ষ দশ উইকেট সংগ্রাহকের তালিকা।
১/ মোহাম্মাদ শামি: প্রথম চার ম্যাচে ভারতের একাদশেই ছিলেন না শামি। চোটের কারণে টুর্নামেন্টে থেকে হার্দিক পান্ডিয়া ছিটকে যাওয়ায় তার কপাল খোলে। দুর্দান্ত ধারালো বোলিংয়ে টিম ইন্ডিয়ার এ পেসার ৭ ম্যাচ খেলেই আসরে মাত্র ১০.৭০ গড়ে সর্বাধিক ২৪ উইকেটের মালিক হয়েছেন।
অন্যরা যেখানে ৭০, ৮০ বা ৯০ ওভার বল করার সুযোগ পেয়েছেন,সেখানে শামি বল করেছেন ৪৮.৫ ওভার, ইকোনমি রেট ৫.২৫। তিনবার পেয়েছেন পাঁচ কিংবা তার অধিক উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ৫৭ রানে ৭ উইকেট, সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ভারতকে ফাইনালে তুলতে তার অবদান অনস্বীকার্য।
২/ অ্যাডাম জাম্পা: ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে লেগস্পিনে নিজের ঝলক দেখাতে জাম্পা বেশ সফল। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলের হয়ে এনে দিয়েছেন ব্রেক থ্রু। ১১ ম্যাচে ২২.৩৯ গড়ে ৫.৩৬ ইকোনমি রেটে ২৩ উইকেট তুলে অজিদের হেক্সা মিশন সফল করতে দারুণ ভূমিকা রাখেন।
৩/ দিলশান মাদুশাঙ্কা: দশ দলের বিশ্বকাপে টেবিলের নয় নম্বরে থেকে আসর শেষ করে শ্রীলঙ্কা। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়দের টুর্নামেন্টের ভরাডুবির মাঝেও বল হাতে সফল ছিলেন মাদুশাঙ্কা। লঙ্কান পেসার ৯ ম্যাচে ২৬ গড়ে ৬.৭০ ইকোনমি রেটে ২১ উইকেট পান।
৪/ জাসপ্রীত বুমরাহ: ভারতের পেস আক্রমণের অপরিহার্য সদস্য তিনি। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে লাগামের ভেতর রাখতে ছিলেন সক্ষম।
১১ ম্যাচে ১৮.৬৫ গড়ে ৪.০৬ ইকোনমি রেটে পেয়েছেন ২০ উইকেট।
৫/ জেরাল্ড কোয়েটজি: সেমিফাইনালে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করা সাউথ আফ্রিকার হয়ে সর্বাধিক উইকেট শিকারি কোয়েটজি। ডানহাতি পেসার ৮ ম্যাচে ১৯.৮০ গড়ে ৬.২৩ ইকোনমি রেটে ২০ উইকেট শিকার করেন।
৬/ শাহিন শাহ আফ্রিদি: শেষ চারে উঠতে ব্যর্থ হওয়া পাকিস্তানের এ পেসার বল হাতে নেন ১৮ উইকেট। ৯ ম্যাচে ২৬.৭২ গড়ে তার ইকোনমি রেট ছিল ৫.৯৩।
৭/ মার্কো জানসেন: সাউথ আফ্রিকান পেস অলরাউন্ডার ৯ ম্যাচে ২৬.৪৭ গড়ে ৬.৫২ ইকোনমি রেটে ১৭ উইকেট পকেটে পুরেন।
৮/ রবীন্দ্র জাদেজা: টিম ইন্ডিয়ার বাঁহাতি স্পিন অলরাউন্ডার ১১ ম্যাচে ২৪.৮৭ গড়ে ৪.২৫ ইকোনমি রেটে ১৬ উইকেট পান।
৯/ জস হ্যাজেলউড: ফাইনালে ২ উইকেটে পেয়ে এই অস্ট্রেলিয়ান পেসার শীর্ষ দশ উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় ঢুকেছেন। ১১ ম্যাচে ২৮.০৬ গড়ে ৪.৮১ ইকোনমি রেটে নেন ১৬ উইকেট।
১০/ মিচেল স্যান্টনার: ব্ল্যাক ক্যাপস স্পিনার বল যাতে দলকে সেমিফাইনালে তোলায় কার্যকরী ভূমিকা রাখেন। ১০ ম্যাচে ২৮.০৬ গড়ে ৪.৮৪ ইকোনমি রেটে ১৬ উইকেট দখল করেন।