পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার দেয়া ২৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছিল আফগানিস্তান। ইনিংসের ১৮.৫ ওভারের সময় টিভিস্ক্রিনে দেখা মেলে এক হোয়াইটবোর্ডের। দেখা যায় ওভার ধরে রানতাড়ার পরিকল্পনার ছক কষে রেখেছিল আফগান দলটি।
হোয়াইটবোর্ডে লেখা ছক অনুযায়ী, প্রথম ১০ ওভারে ৫০, ২০ ওভারে ১০০, ৩০ ওভারে ১৫০ রান এবং ৪০ ওভারে ২০০ রান করার পরিকল্পনা ছিল আফগানিস্তানের। ৪৮ ওভারের মধ্যে দলটি জয়ের লক্ষ্য স্থির করে রেখেছিল। দলের ব্যাটিং কৌশলের অংশ হিসেবে এমন দিক-নির্দেশনা অনুসরণ করতে ছকটি করা হয়েছিল।
৪০ ওভার শেষে টিভি ক্যামেরা আবারও সেই হোয়াইটবোর্ড প্রদর্শন করে। এতে দেখা যায়, প্রথম ১০ ওভারে আফগানিস্তানের তোলা স্কোর ছিল ৫০, ২০ ওভারে ৮৭, ৩০ ওভারে ১৩৯ এবং ৪০ ওভারে ২০১। আফগানিস্তান ৪৮ ওভারের মধ্যে জয়ের লক্ষ্য ঠিক করলেও ৪৫.২ ওভারে জিতে মাঠ ছাড়ে।
ম্যাচ শেষে হোয়াইটবোর্ড কৌশল নিয়ে কথা বলেছেন কোচ জনাথন ট্রট। বলেছেন, ‘মনে করি, যখন প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামতে হয় তখন পরিকল্পনা একটু আলাদা হয়। যখন রানতাড়া করার ব্যাপার থাকে, তখন স্পষ্টতই লক্ষ্য পরিবর্তন হয় না। যদি না ডাকওয়ার্থ-লুইস হয়। সুতরাং লক্ষ্যকে ছোটভাবে বিভক্ত করার বিষয়ে একটু বেশি মনোযোগ রয়েছে।’
বড় দলগুলোর মতো পেশাদারিত্ব দেখিয়ে রানতাড়ায় আফগানরা সফল হয়েছে। মাঠে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে ব্যাটারদের দায়িত্বশীলতা দলকে জয়ের বন্দরে নিয়েছে। ডট বল কম খেলা ও মাটি কামড়ানো শট খেলাতেও দলটি মুন্সিয়ানা দেখায়।
হোয়াইটবোর্ড কৌশল নিয়ে ট্রটের ভাষ্য, ‘কখনো কখনো অবশ্যই পাকিস্তানের খেলার মতো ২৮০ রানতাড়ার সময় শূন্য থেকে শুরু করা অনেক দূরের পথ। তবে যদি লক্ষ্য এভাবে ভাগ করে দেন, সেটি অনেকবেশি পরিচালনা যোগ্য বলে মনে হয়।’
‘এধরনের ছোটখাটো জিনিস খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করে। তাদের সাথে খেলার মাঝে যোগাযোগ রাখতে চাই। এটি ভালো অনুভূতি দেয়। যদি জানেন সঠিক পথে আছেন, সেটা সুন্দর অনুভূতি।’