বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে শ্রেয়াস আয়ার ও লোকেশ রাহুলের সেঞ্চুরি এবং তিন ব্যাটারের ফিফটিতে নেদারল্যান্ডসের সামনে হিমালয়সম সংগ্রহ গড়েছে ভারত। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে হলে ডাচদের তাড়া করতে হবে ৪১১ রান।
বেঙ্গালোরের এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটের সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ডাচ বোলারদের নাস্তানাবুদ করে নির্ধারিত ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৪১০ রানের সংগ্রহ গড়ে আসরে অপরাজিত ভারত। আয়ার ও রাহুলের সেঞ্চুরির পাশাপাশি ফিফটি তুলে নেন গিল, রোহিত ও কোহলি।
ভারতের আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ এটি। ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪১৮ রান করেছিল টিম ইন্ডিয়া। তবে বিশ্বকাপে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড এটি। ২০০৭ বিশ্বকাপে বারমুডার বিপক্ষে ৪১৩ রান করেছিল দলটি।
ব্যাটে নেমে স্বাগতিকদের উড়ন্ত শুরু এনে দেন রোহিত শর্মা ও শুভমন গিল। শতরানের জুটি গড়েন তারা। ৩ চার ও ৪ ছয়ে ৫৬ বলে ৫১ রানে গিল ফিরে গেলে জুটি ভাঙে। ফিফটি তুলে নেন রোহিত শর্মাও। আঠারোতম ওভারে দলীয় ১২৯ রানে ফিরে যান রোহিত। ৮ চার ও ২ ছয়ে ৫৪ বলে ৬১ রান করে যান অধিনায়ক।
পরে শ্রেয়াস আয়ার ও বিরাট কোহলি ৭১ রানের জুটি গড়েন। ১৯তম ওভারে বিরাট ফিরে যান ৫ চার ও এক ছয়ে ৫৬ বলে ৫১ রান করে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে লোকেশ রাহুলকে নিয়ে ডাচ বোলারদের উপর তোপ দাগেন শ্রেয়াস। ৮৪ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন।
ইনিংসের শেষ ওভারে সেঞ্চুরি তুলে নেন লোকেশ রাহুল। ১১ চার ও ৪ ছক্কায় ৬২ বলে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন। চলতি বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরিতে পঞ্চম এবং বিশ্বকাপের ইতিহাসে নবম দ্রুততম সেঞ্চুরি এটি।
শ্রেয়াস আয়ার ও লোকেশ রাহুল ২০৮ রানের জুটি গড়েছেন। ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে রাহুল ফিরে যান ৬৪ বলে ১০২ রান করে। ১১ চার ও ৪ ছক্কায় সাজানো ইনিংস।
ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন শ্রেয়াস। ৯৪ বলে ১২৮ রানের ইনিংসে ছিল ১০ চার ও ৫ ছক্কার মার।
ডাচদের হয়ে দুটি উইকেট নেন বাস ডে লেডে। পল ফন মিকেরেন ও রোয়েলফ ফন ডের মেরউই নেন একটি করে উইকেট।