বিশ্বকাপে ভারত ম্যাচের আগের তিন ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। রোহিতদের বিপক্ষে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। উদ্বোধনী জুটিতে ৯৩ রান তুলেছে টিম টাইগার্স। ঝড়ো ফিফটি করে ফিরেছেন তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।
১৫তম ওভারের চতুর্থ বলে কুলদীপ যাদবের শিকার হন তরুণ ওপেনার। ৪৩ বলে ৫১ রান করেছে যান ৫ চার ও ৩ ছক্কায়। তার ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। সেটিও বিশ্বমঞ্চে এবং ভারতের বিপক্ষে, যা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে ২০০৭ বিশ্বকাপের কথা, সিনিয়র তামিম তথা তামিম ইকবালের কথা।
পোর্ট অব স্পেনে ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। বিশ্বমঞ্চে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ও শেষ জয় হয়ে আছে সেটি। চার ম্যাচের মধ্যে একমাত্র জয় টিম টাইগার্সের। যে ম্যাচে ৫১ রান করে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন সিনিয়র তামিম।
সেদিন টসে জিতে আগে ব্যাট করা ভারতকে ১৯১ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে নেমে তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত ফিফটিতে জয় তুলে ইতিহাস গড়ে টিম টাইগার্স।
ইতিহাস গড়া ম্যাচে ওপেনার তামিম ৫৩ বলে ৫১ রান করে মুনাফ প্যাটেলের শিকার হন। তামিম ইকবালের ৫৩ বলে ৫১ রানের সেই ইনিংসটিই যেন মনে করিয়ে দিলেন তানজিদ তামিম। যদিও তামিম ইকবালের চেয়ে ১০ বল কম খেলেছেন তানজিদ তামিম।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১১৪ রান। লিটন দাস ৭৫ বলে ৭ চারে ৬৪ ও তাওহীদ হৃদয় ৩ বলে ১ রানে ক্রিজে আছেন।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পাওয়া তানজিদ তামিম ৪৩ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৫১ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে ফিরে গেছেন কুলদ্বীপ যাদবের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে।
২০তম ওভারের শেষ বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে জাদেজার শিকার হন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৭ বলে ৮ রান করেন টাইগারদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। ২৫তম ওভারের প্রথম বলে সিরাজের শিকার হন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৩ বলে ৩ রান করে যান তিনি।