পাওয়ার প্লেতে ভারতের বিপক্ষে ‘পাওয়ার’ ব্যাটিংয়ে বড় স্কোরের আভাস দিচ্ছে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম শুরুতে ছিলেন খোলসবন্দি। পরে হাত খুলে পেটানো শুরু করেন। দুজনে বিশ্বকাপের মঞ্চে উদ্বোধনীতে বাংলাদেশের সর্বাধিক ৯৩ রানের জুটির রেকর্ড গড়েছেন।
এর আগে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা ওপেনিং জুটি ছিল শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ ও মেহরাব হোসেন অপির। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে নর্দাম্পটনে পাকিস্তানের বিপক্ষে তারা ৬৯ রানের জুটি গড়েছিলেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৭ ওভারে ১ উইকেটে ৯৮ রান। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পাওয়া তানজিদ তামিম ৪৩ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৫১ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে ফিরে গেছেন। কুলদ্বীপ যাদবের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন। লিটন দাস ৪৮ বলে ৫ চারে ৪১ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ১১ বলে ৩ রানে ক্রিজে আছেন।
ব্যক্তিগত ৪১ রানে জীবন পান তানজিদ তামিম। দ্বাদশ ওভারের তৃতীয় বলে তানজিদের জোরাল শটে ফিরতি ক্যাচ নিতে পারেননি শার্দূল ঠাকুর। পরে ৪১ বলে তিনি ফিফটি তুলে নেন।
শুরুতে মোহাম্মদ সিরাজ ও জাসপ্রীত বুমরাহর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রথম পাঁচ ওভারে বাংলাদেশ ১০ রানের বেশি তুলতে পারেনি। ১৩ বল মোকাবেলার পর রানের খাতা খোলেন লিটন। পরে রানের গতি বাড়তে থাকে। পরের ৫ ওভারে ৫৩ রান আনে বাংলাদেশ।
নবম ওভারে বোলিং আক্রমণে আসেন হার্দিক পান্ডিয়া। তার দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকান লিটন। তৃতীয় বলটি করতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান হার্দিক। গোড়ালিতে চোট পাওয়ার পর ব্যান্ডেজ করতে হয়। বেশ খানিকক্ষণ মাঠে তার সেবা চলতে থাকে। উঠে দাঁড়ানোর পর খোঁড়াতে থাকায় মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। হার্দিকের ওভারের বাকি তিন বল করেন বিরাট কোহলি।