শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) দেশের ১১টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘নোনা জলের কাব্য’। রাজধানীর আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও বগুড়ার দর্শক প্রথম সপ্তাহ থেকেই সিনেমাটি উপভোগ করতে পারছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় আগারগাঁওয়ের ফিল্ম আর্কাইভ মিলনায়তনে ‘নোনা জলের কাব্য’র প্রেস শোয়ের আয়োজন করা হয়। এদিন সাংবাদিকদের উদ্দেশে দেশের প্রান্তিক অঞ্চলের জেলেদের নিয়ে সিনেমা নির্মাণের তাগিদ অনুভবের কারণ জানানা নির্মাতা।
বলেন, জেলেবাসীদের কথা দিয়ে এসেছিলাম যে, বাংলাদেশে সবার আগে তারাই দেখবে সিনেমাটি। গেল সোমবার তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন তিনি।
প্রেস শো’তে তরুণ নির্মাতা সুমিত জানান, শুক্রবার থেকে ‘ফ্রেশ’ নিবেদিত ‘নোনা জলের কাব্য’ সিনেমাটি একযোগে স্টার সিনেপ্লেক্স-এর সবগুলো শাখা(বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, এসকেএস টাওয়ার, সীমান্ত সম্ভার, সনি স্কয়ার), ব্লকবাস্টার সিনেমা (যমুনা ফিউচার পার্ক, ঢাকা), শ্যামলী সিনেমা হল, সিনেমাস্কোপ (নারায়ণগঞ্জ), সিলভারস্ক্রিন (চট্টগ্রাম), সুগন্ধা সিনেমা (চট্টগ্রাম), এবং বগড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেতে যাচ্ছে।

গেল মাসেই প্রকাশিত হয়েছে ‘নোনাজলের কাব্য’র ট্রেলার। প্রায় দুই মিনিটের এই ট্রেলারে সাগর পাড়ের মানুষের সংগ্রাম, জেলেদের কথা, প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকার ক্ষমতা। সেই সঙ্গে জেলেদের সামাজিক রীতিনীতি ও সংস্কারের বিষয়টিও ট্রেলারে দারুণভাবে উঠে আসে।
সিনেমাটি নিয়ে নির্মাতা আগেই জানিয়েছেন, ‘নোনাজলের কাব্য’ চলচ্চিত্রে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জেলেদের দৈনন্দিন জীবন সংগ্রাম ও সাংস্কৃতিক প্রভাবের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
তিতাস জিয়া, তাসনুভা তামান্না, ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, অশোক ব্যাপারি, আমিনুর রহমান মুকুল, রোজি সিদ্দিকী এবং দুলারি তাহিম চলচ্চিত্রের মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। সিনেমার আবহ সংগীত পরিচালনা করেছেন অর্ণব। এরইমধ্যে তার গাওয়া একটিও গানও উন্মুক্ত হয়েছে, পাচ্ছে প্রশংসাও।
কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব ছাড়াও ‘নোনাজলের কাব্য’ বুসান, লন্ডন ও সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছে, এবং প্রশংসিত হয়েছে।