এস আলমের কারখানায় অগ্নিকাণ্ড বা অন্য কোনো কারণে বাজারে চিনির সংকট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, বিভিন্ন মিলের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। তাদের কাছে যে পরিমাণ চিনি মজুত আছে, আশা করছি রমজানে চিনির কোনো সংকট হবে না।
বৃহস্পতিবার ৭ মার্চ রাজধানীর কলোনি বাজার পলিটেকনিক মাঠে সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবি আয়োজিত ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি ব্যবসায়ীদের বলছি, তারা যেন সংকটের অপচেষ্টা না করেন। পত্র-পত্রিকায় আমি দেখছি দু-এক জায়গায় চিনির দাম বাড়ানোর অপচেষ্টা হচ্ছে, কিন্তু আমরা সেটা করতে দেব না। মিলগেটে চিনির দাম এক টাকাও বাড়বে না। দেশের সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারীরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা কখনই চাই না পুলিশ-আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বাজারের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করতে। বাজারে যদি সাধারণ গতি থাকে, সুষ্ঠুভাবে চলে, আমি বিশ্বাস করি বাজারে ন্যায্যমূল্যে পণ্য পাওয়া যাবে। আমরা সেই চেষ্টাই করছি। তারপরও রমজানে কেউ বাজার অস্থিতিশীল করতে চাইলে কঠোর হতে হবে।
আহসানুল ইসলাম বলেন, কিছু সুবিধাভোগী লোক আছে যারা সবসময় বাজার ব্যবস্থাপনার ত্রুটিকে অজুহাত বানিয়ে মুনাফা করতে চায়। আমরা চেষ্টা করছি তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি লোককে প্রতি মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেয়া হচ্ছে। একইসাথে টিসিবির সেবাগ্রহণকারী গ্রাহকদের তথ্য যাচাই বাছাই করে আবার ডিজিটাল কার্ড দেয়া হচ্ছে। টিসিবির পণ্য কিনতে গ্রাহকদের অনেক সময় পরিশ্রম হয়। এই ভোগান্তি কমাতে টিসিবির ডিলারশিপের দোকানগুলো নির্দিষ্ট করে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক বিভিন্ন কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। তারপরও আমরা সাশ্রয়ীমূল্যে পণ্য বিতরণ করে যাচ্ছি। ১৬৩ টাকার তেল দিচ্ছি ১০০ টাকায়, ১৪০ টাকার চিনি দিচ্ছি ৭০ টাকায়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, টিসিবির মাধ্যমে এই এক কোটি গ্রাহকের কাছে পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমে বাজারের চাপটা অনেক কমে যাবে। ফলে সাধারণ ভোক্তারাও সহজে কেনাকাটা করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং টিসিবি চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসানও বক্তব্য দেন।