চার বছর আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরাজয়ের স্মৃতি এখনো বয়ে চলেছে ভারত। ২০২১ সালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম আসরে ফাইনালে টিম ইন্ডিয়ার বিপক্ষে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কেন উইলিয়ামসনের দল। এর আগে ২০০০ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতকে হারিয়ে প্রথমবার আইসিসির বৈশ্বিক কোনো আসরের শিরোপা কিউইরা জিতেছিল।
ইতিহাস বলছে, বড় আসরে ভারতের জন্য সবসময়ই নিউজিল্যান্ড ম্যাচ কঠিন হয়ে ওঠে। তবে অতীত নিয়ে একেবারেই ভাবতে নারাজ ভারতের রোহিত শর্মা। ওয়ানডে বিশ্বকাপে কিউইদের সঙ্গে সেমিফাইনালের আগেরদিন মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমনটি জানান।
‘আমি মনে করি না অতীত নিয়ে বেশি কথা ও আলোচনার দরকার আছে। ১০ বছর আগে, ৫ বছর আগে, এমনকি গত বিশ্বকাপে কি হয়েছে, তা নিয়েও নয়।’
‘সত্যি বলতে প্রথমবার ১৯৮৩ বিশ্বকাপ আমরা যখন প্রথম শিরোপা জিতি, বর্তমান স্কোয়াডে থাকা অর্ধেক খেলোয়াড়ের তখন জন্ম হয়নি। ২০১১ সালে যখন দ্বিতীয়বার শিরোপা জিতি, এখনকার স্কোয়াডের অর্ধেক ক্রিকেটার সেই ম্যাচে খেলেনি। বর্তমানে যারা খেলছে তারা আজ কি ঘটছে , আগামীকাল কি ঘটবে, এসব নিয়ে ভাবে না।’
‘কীভাবে আমরা আগের বিশ্বকাপ জিতেছিলাম, প্রথমটা জিতেছিলাম, আমি তাদের এসব নিয়ে আলোচনাই করতে শুনিনি। দলের জন্য কি অর্জন করতে পারি, সেদিকেই সবার নজর। আমার দলের খেলোয়াড়দের এটাই সৌন্দর্য। মনোযোগটা সবসময় বর্তমানেই আছে।’
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মিশনে দুরন্ত গতিতেই ছুটছে ভারত। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে দাপট দেখিয়ে চলা স্বাগতিকদের দুর্বলতা খুঁজে পাওয়াই যেন মুশকিল। ষষ্ঠ বোলিং অপশন না থাকা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে রোহিতের কাছে রাখা হয় প্রশ্ন। লিগপর্বের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে বিরাট কোহলি, শুভমন গিল ও সূর্যকুমার যাদবসহ নয় বোলার ব্যবহার করেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক।
বিষয়টি নিয়ে রোহিত বলেন, ‘হার্দিক পান্ডিয়া চোটে পড়ার পর আমাদের কম্বিনেশন পাল্টে যায়। প্রথম ম্যাচ থেকেই বাকিদের কীভাবে বোলিং করানো যায়, আমাদের সেই চেষ্টা ছিল। এমন পরিস্থিতি আসাটাও দরকার ছিল। সবশেষ ম্যাচে সেরকম পরিস্থিতি এসেছিল। বোলিং অপশন আমাদের আছে। আশা করি সেগুলো ব্যবহারের দরকার পড়বে না।’