আগে ব্যাট করা ইংল্যান্ডের ৯ উইকেটে ৩২৫ রানে ইনিংস ঘোষণার পর ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল নিউজিল্যান্ড। ৩ উইকেটে ৩৭ রানে দ্বিতীয় দিন শুরু করা স্বাগতিকদের জন্য একটা পর্যায়ে স্বস্তির ছিল না। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার টম ব্লান্ডেলের ধৈর্যশীল সেঞ্চুরিতে কিউইরা অবশ্য ৩০৬ রানে যেয়ে থেমেছে প্রথম ইনিংসে।
১৯ রানের লিড পাওয়া ইংলিশরা দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে আবারও অতি-আক্রমণাত্মক ‘বাজবল’ ক্রিকেট খেলা শুরু করেছে। ১৬ ওভারে তুলেছে ২ উইকেটে ৭৯ রান। অতিথিরা ৮ উইকেট হাতে রেখে ৯৮ রানে এগিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষে।
শুক্রবার মাউন্ট মঙ্গানুইতে দিবারাত্রির টেস্টের দ্বিতীয় দিনে নিউজিল্যান্ড ডেভন কনওয়ে এবং নিল ওয়াগনারের ৫১ রানের জুটিতে বিপর্যয় সামালের ইঙ্গিত দেয়। ২৭ রান করা ওয়াগনার এবং রানের খাতা না খোলা ড্যারিল মিচেলের উইকেট হারিয়ে ৮৩ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে আবার বিপদেও পড়ে।
ষষ্ঠ উইকেটে ব্লান্ডেলকে নিয়ে ৭৫ রান যোগ করে ঢাল হন কনওয়ে। ১৫১ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৭৭ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলে বেন স্টোকসের শিকার হন কনওয়ে, ভাঙে জুটি। মিচেল ব্রেসওয়েল ৭ রান করে বিদায় নিলে বড় লিডের আশা দেখতে পায় ইংল্যান্ড।
অভিষিক্ত স্কট কুগ্গেলেইনকে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ৫৩ রানের জুটি গড়ে স্বাগতিকদের লড়াইয়ে ফেরাতে চেষ্টা করেন ব্লান্ডেল। চা বিরতির পর পান সেঞ্চুরির দেখা। অলি রবিনসনের বলে ২০ রান করা কুগ্গেলেইন বোল্ড হলে জুটি ভাঙে।
নবম ব্যাটার হিসেবে টিম সাউদি বাইশ গজ ছাড়ার সময় কিউইদের স্কোর ছিল ৯ উইকেটে ২৪৭ রান। শেষ উইকেট জুটিতে আরেক অভিষিক্ত ব্লেয়ার টিকনারের সঙ্গে মিলে জাত চেনান ব্লান্ডেল। বেন ডাকেটের তালুবন্দি হওয়ার আগে ১৮১ বলে ১৯ চার ও এক ছক্কায় খেলেন ১৩৮ রানের সময়োপযোগী ইনিংস।
ইংল্যান্ডের পক্ষে অলি রবিনসন ৫৪ রানে ৪ উইকেট নেন। নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে ৩৬ রানে ৩ উইকেট নেন জেমস অ্যান্ডারসন। একটি করে উইকেট পকেটে পোরেন স্টুয়ার্ট ব্রড, জ্যাক লিচ ও বেন স্টোকস।
পরে দ্বিতীয় ইনিংসেও চলতে থাকে ইংল্যান্ডের ‘বাজবল’। ১০ ওভারের আগেই ৫২ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন জ্যাক ক্রাউলি ও বেন ডাকেট। টিকনারের বলে ব্লান্ডেলের গ্লাভসে ধরা পড়ার সময় ডাকেটের রান ছিল ২৫, ২৭ বলে ৪ চারে।
ছয় চারে ২৮ রান করে ক্রাউলি কুগ্গেলেইনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। অলি পোপ ১৪ ও নাইটওয়াচম্যান হিসেবে চারে নামা স্টুয়ার্ট ব্রড ৬ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন।