নতুন মন্ত্রিসভায় মাত্রই দায়িত্ব পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রীর। পেয়েই নিজের অগ্রাধিকারের জায়গাগুলো কী, কোন কাজগুলো করতে হবে, সেদিকে মনোযোগ দিচ্ছেন নাজমুল হাসান পাপন। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের সামনে অগ্রাধিকারের জায়গাগুলো নিয়ে বলেছেনও নতুন ক্রীড়ামন্ত্রী।
‘আমাদের অনেক ধরনের স্পোর্টস ফেডারেশন আছে। সবার সাথে কথা না বলে, কার সমস্যা কী এটা যদি না জানতে পারি, তাহলে সেটার সমাধান কী তাও বলতে পারব না। তবে একটা জিনিস আমি জানি, অনেকগুলো ফেডারেশন আছে যাদের নাকি খুব সম্ভাবনা আছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গিয়ে প্রতিযোগিতা করার।’
‘কতগুলো স্পোর্টস আছে যেগুলোতে আমি মনে করি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খুব ভালো করা সম্ভব, অনেকে ভালো করছেও। যেমন- আর্চারি, শ্যুটিং, এগুলোতে তো আমাদের সম্ভাবনা আছেই।’
‘ফুটবল দেখেন, বিশেষ করে মেয়েরা তো ভালো খেলছেই, ছেলেরাও ভালো খেলছে। সুতরাং আমাদের অনেক সুযোগ আছে, অনেক সম্ভাবনা আছে। সমস্যা হচ্ছে যে, ওদের সমস্যাটা কী আমাদের আগে জানতে হবে। সবসময় মিডিয়ার মাধ্যমে যেটা শুনি, ওদের অর্থসংকট। এটা আমার কাছে কেন জানি মনে হয় শুধুমাত্র এটাই একমাত্র কারণ হতে পারে না। কারণ আমি ক্রিকেট বোর্ডের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, একটা জিনিস আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশে স্পন্সরের অভাব নেই। খেলাধুলায় স্পন্সর করার মতো লোক আছে, তবে ওদের কনফিডেন্স ফিরিয়ে আনতে হবে।’
‘সুতরাং প্রথমে সবার সাথে বসতে হবে, তাদের বর্তমান অবস্থা কী, তাদের সমস্যাটা কী, সেটা জানতে হবে। মন্ত্রণালয় সম্পর্কে আগে জানতে হবে, তাদের সম্পদ কী আছে দেখতে হবে। সবাই চাইলেই তো হবে না, সম্পদ যেটা আছে তার মধ্যেই করতে হব। প্রত্যেকটা ফেডারেশন, প্রকৃতপক্ষে জেলা ক্রীড়া সংস্থা, সব সংস্থা এবং ক্লাবগুলো সবার সাথে বসতে হবে।’
‘আমার ধারণা তৃণমূল পর্যায় থেকে যদি তথ্যগুলো পাওয়া যায় কি কি দরকার, তারপর আমাদের সম্পদ যে পরিমাণ আছে সে অনুযায়ী বসতে হবে। একবারে সবগুলোর যে উন্নতি করা যাবে এমন কোনো কথা নেই। এখানে বেছে নিতে হবে প্রথম চার-পাঁচটা, সেগুলোতে গুরুত্ব একটু বেশি দিতে হবে, তারপরের বছর অন্যগুলো আসবে। লক্ষ্য দিতে হবে, আগামী একবছরে হবে না, তিন বছরে দৃশ্যমান এমনকিছু করতে হবে। সে অনুযায়ী কাজ করব।’