ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বল হাতে ভেল্কি দেখিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অফস্পিনার সুনীল নারিন। জাতীয় দলের পাশাপাশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতেও নিজেকে অপরিহার্য প্রমাণ করেছেন। ক্যারিয়ারের পুরো সময়টা মসৃণ ছিল না তার। অবৈধ অ্যাকশনে নিষিদ্ধ হয়েছেন একাধিকবার। প্রায় তিন বছর ধরে জাতীয় দলের দরজা বন্ধ নারিনের জন্য।
সবধরনের টি-টুয়েন্টি প্রতিযোগিতা মিলিয়ে খেলেছেন ৪০০টিরও বেশি ম্যাচ। ২০ ওভারের ক্রিকেটে ক্যারিবীয় এ স্পিনারকে সবসময়ের সেরা বোলারের ছোট্ট তালিকায় রাখেন অনেকেই। বোলিংয়ে বৈচিত্র্য এনে তিনি দিয়েছেন শৈল্পিক মাত্রা।
২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য নারিন। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) হয়ে দুবার জিতেছেন শিরোপা। অথচ কিশোর বয়সেই ক্রিকেট ছাড়তে বসেছিলেন।
এতসব অর্জন এবং পারফর্ম করে যাওয়া সত্ত্বেও নারিনকে আর কখনও উইন্ডিজের মেরুন জার্সিতে দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা কাটছে না। ৩৪ বর্ষী এ ক্রিকেটার অবশ্য ভবিষ্যতে ফের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার ইচ্ছার কথাটা জোর দিয়ে বলছেন। তবে ইঙ্গিত করেছেন বোর্ডের ইচ্ছা-অনিচ্ছার দিকেও।
‘পর্দার আড়ালে অনেককিছু ঘটছে। আসলেই এমনকিছুর প্রত্যাশা করি না। বলতে চাচ্ছি, প্রত্যেকেই তাদের নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পছন্দ করবে। জাতীয় দলের অংশ হতে চাওয়ার পরও যখন তা হয় না, সেটি জানার পর মানতে পারাটা কঠিন ব্যাপার।’
‘আশা করি ভবিষ্যতে আবারও মেরুন জার্সি পরব। এখন পর্যন্ত সেই আশা করি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে এখনো খেলতে চাই। সেই সুযোগ কখন আসে তা দেখব। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলার ব্যাপারে কখনোই না কথাটি বলব না।’
২০১২ আইপিএলের নিলামে নারিনকে ৭ লাখ ডলারে টেনেছিল কলকাতা। ছয়ের নিচে ইকোনমি রেটে বোলিং করে নিয়েছিলেন ২৪ উইকেট। দশ বছর পর ২০২২ সালের আসরেও ছয়ের নিচেই ইকোনমি রেটে বোলিং করেছেন। ধারাবাহিকভাবে এমন কৃপণ বোলিংয়ের রহস্যটাও তিনি ফাঁস করে দিলেন।
‘উইকেট নিয়ে চিন্তা না করে কীভাবে রান আটকানো যায় সেটাই আমার মানসিকতায় ছিল সবসময়। বলতে চাচ্ছি, উইকেট পাওয়ার চেষ্টায় বোলিং করি। তবে ফিল্ড এমনভাবে সাজাই, ব্যাটাররা বাউন্ডারির পরিবর্তে এক বা দুটি রান পায়। চেষ্টা করি কীভাবে নির্দিষ্ট খেলোয়াড়দের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং বন্ধ করা যায়।’
‘আগে থেকেই কীভাবে নিশ্চিত করবেন যে এমন একজনের মুখোমুখি হতে চলেছেন যে আপনাকে আরও বেশি অস্বস্তি দেয়। আমার পরিকল্পনা কি, আমি কোন ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বোলিং পছন্দ করি, কিভাবে তাকে আটকে রাখব, এ বিষয়গুলোই বিবেচনার চেষ্টা করি।’