চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

প্রতিযোগীর গুরুতর অভিযোগ, আয়োজক বললেন ‘বানোয়াট’

'মিসেস এশিয়া বাংলাদেশ ২০২২' কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার অভিযোগ তুুলেছেন বিজয়ী রাহা

‘মিসেস এশিয়া বাংলাদেশ ২০২২’ এর আয়োজকদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন এই আসরেরই বিজয়ী খাদিজা আকতার রাহা। 

তার দাবী, থাইল্যান্ডে ‘মিসেস এশিয়া’র মূল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাওয়া যাবে এমন আশ্বাস দিয়ে ৮ নভেম্বর ছয় লাখ টাকা নিয়েছেন বাংলাদেশের আয়োজক অপূর্ব ডটকম-এর মালিক অপূর্ব আবদুল লতিফ। রাহার অভিযোগ, ছয় লাখ টাকা নেওয়ার পরে গত ২০ নভেম্বর থাইল্যান্ডে নির্ধারিত আয়োজনে অংশ নিতে রাহাকে আবারও চৌদ্দ লাখ টাকা দিতে বলেন আয়োজক অপূর্ব।

মোটা অংকের এই টাকা দিতে রাজি হননি বিজয়ী রাহা। তার দাবী, টাকা দেননি বলেই থাইল্যান্ডে ‘মিসেস এশিয়া ২০২২’-এ অংশ নেয়া হয়নি তার। পরবর্তীতে রাহা তার দেয়া ছয় লাখ টাকা ফেরত চাইলে আয়োজক তা দিতে অস্বীকৃতি জানান।

এসব অভিযোগ এনে আয়োজক অপূর্ব আবদুল লতিফের বিরুদ্ধে রবিবার (২৭ নভেম্বর) গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছেন রাহা। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, শনিবার (২৬ নভেম্বর) টাকা ফেরতে চাইতে গেলে তার  ক্ষতি করবে বলেও হুমকি দেয়া হয়।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে খাদিজা আকতার রাহা চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, গত ১১ নভেম্বর ‘মিসেস এশিয়া ২০২২’ প্রতিযোগিতার জন্য বাংলাদেশ থেকে বিজয়ী হই। তার আগে ৮ নভেম্বর আমার থেকে ছয় লক্ষ টাকা নেয় আয়োজক অপূর্ব। বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে ২০ নভেম্বর থাইল্যান্ড যাওয়ার কথা ছিল। সে জন্য আমার পাসপোর্ট নেয়া হয়। তখন বলে, কোনো স্পন্সর পাইনি। সেজন্য ১০দিনের জন্য সেলফ স্পন্সর করতে বলা হয়। যার মধ্যে ছিল ভিসা প্রসেস, যাতায়াত, হোটেল, পঞ্চাশটির মতো ড্রেস, জুতা এবং কিছু অনুশীলন; সবকিছু বাবদ আমাকে ছয় লক্ষ টাকা স্পন্সর করতে বলে।

রাহা বলেন, অপূর্ব ডট কম-এর মালিক অপূর্ব আবদুল লতিফ ও তার স্ত্রী তাদের দুজনের আশ্বাসে টাকা দেই। কিন্তু তারা আমার ভিসা করেনি। পরে খোঁজ নিলে, তারা আমাকে জানায় আরও চৌদ্দ লক্ষ টাকা দিতে হবে। তখন আমার মনে সন্দেহ লাগে। পরে তারা আমাকে মেসেজ পাঠায়, পুরো টাকা না দেয়ায় আমার সেখানে যাওয়া হচ্ছে না। পরবর্তীতে ছয় লক্ষ টাকা ফেরত চাইলে আমার সঙ্গে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে এবং টাকা দিতে অস্বীকার করে।

তবে প্রতিযোগী রাহার আনা এসব অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে অপূর্ব আবদুল লতিফ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, যে টাকা নিয়েছি সেটা স্পন্সর যিনি করেছেন, তার কাছ থেকে নিয়েছি। কোনো প্রতিযোগীর কাছ থেকে নয়। যে স্পন্সরের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি তাকে যথাযথ মানি রিসিট দিয়েছি। তার (রাহা) সঙ্গে থেকে কোনো ধরনের টাকা পয়সার লেনদেন করা হয়নি। তিনি যথাযথ কোনো প্রমাণ দেখাতে পারবেন না। যে অভিযোগ তিনি তুলছেন পুরোপুরি মিথ্যে ও বানোয়াট। বিষয়টি নিয়ে দরকার পড়লে আইনি প্রক্রিয়ায় লড়বো।

অপূর্ব ডটকম-এর প্যাডে ছয়লক্ষ টাকার পেমেন্ট রিসিট-এর কপি চ্যানেল আই অনলাইনের কাছে এসেছে। সেখানে উল্লেখ আছে, খায়রুল ইসলাম নামের একজন ছয় লক্ষ টাকা দিয়েছেন। প্যাডে উল্লেখ আছে, থাইল্যান্ডে ‘মিসেস এশিয়া ২০২২’-এর জন্য স্পন্সর। স্বাক্ষর অপূর্ব নামের একজনের।

এদিকে, খাদিজা রাহা বলেন, খায়রুল ইসলাম আমার ছেলে। যেহেতু আমি প্রতিযোগী ছিলাম সে কারণে তারা বলেছিল মানি রিসিটে আমার নাম না রাখতে। তাই আমার ছেলের নামে টাকা দেই। আমি যেহেতু ফাইনালি থাইল্যান্ড যেতে পারিনি, এ কারণে আমি ছয় লাখ টাকা ফেরত চাই। আমি একজন সিঙ্গেল মাদার। অনেক কষ্ট করে এই টাকা জোগাড় করেছি। কিন্তু অপূর্ব ডটকম থেকে টাকা চাইলে আমাকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।