অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনা ও প্রতীক্ষার অবসান হলো। শুক্রবার কানের লাল গালিচায় পা রেখেছেন ইরানের প্রখ্যাত নির্মাতা মোহাম্মদ রসৌলফ। কান চলচ্চিত্র উৎসবে নিজের সিনেমা ‘দ্য সিড অফ দ্য সেক্রেড ফিগ’-এর প্রিমিয়ারে অংশ নিয়েছেন তিনি।
‘দ্য সিড অফ দ্য সেক্রেড ফিগ’-ছবিটি ১২ মিনিট স্ট্যান্ডিং ওভেশন পেয়ে রেকর্ড গড়েছে। সিনেমাটি এবার উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে পাম দ’রের জন্য লড়বে।
দর্শকে পরিপূর্ণ কানের থিয়েটারে নির্মাতা বলেন, ‘আশা করছি ইরান থেকে নিপীড়ন ও স্বৈরাচারের বিলুপ্ত হয়ে যাবে।’
‘দ্য সিড অফ দ্য সেক্রেড ফিগ’ সিনেমার অভিনয় শিল্পীদের ওপরেও ছিল দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা। তাই আমন্ত্রণ পাওয়া সত্ত্বেও কানে উপস্থিত থাকতে পারেননি তারা। কানে তাই অভিনেতা মিসাঘ জারেহ এবং অভিনেত্রী সোহেলিয়া গোলেস্তানির ছবি দুই হাতে ধরে প্রদর্শন করেছেন নির্মাতা।
দ্য সিড অব দ্য সেক্রেড ফিগ’ ছবির গল্প ইমান নামের এক ব্যক্তিকে ঘিরে। যিনি তেহরানের বিপ্লবী আদালতের একজন তদন্তকারী বিচারক। দেশব্যাপী রাজনৈতিক প্রতিবাদ তীব্র হওয়ার সাথে সাথে তার মনে জন্মায় অবিশ্বাস এবং সন্দেহ। এক সময় তার বন্দুক রহস্যজনক ভাবে অদৃশ্য হয়ে যায়। তিনি সন্দেহ করা শুরু করেন যে স্ত্রী নাজমেহ এবং তার কন্যা রেজভান এবং সানা এই ঘটনায় জড়িত। তিনি বাড়িতে কঠোর ব্যবস্থা আরোপ করেন, যার ফলে উত্তেজনা বেড়ে যায়। ধাপে ধাপে তাদের সামাজিক রীতিনীতি ও পারিবারিক জীবনের চিত্র বদলে যায়।
‘দ্য সিড অফ দ্য সেক্রেড ফিগ’ নামের এই ছবিটি সরিয়ে নেয়ার জন্য প্রবল চাপ সৃষ্টি করে ইরান সরকার। তোয়াক্কা না করায় নির্মাতাকে দেয়া হয় আট বছরের কারাদণ্ড, চাবুক মারা, জরিমানা ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ। কারাদণ্ড থেকে বাঁচতে অবৈধ পথে ইরান থেকে পালিয়ে ইউরোপে আশ্রয় নিয়েছেন রসৌলফ।
সূত্র: ভ্যারাইটি