বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে গত দু’দিনে ডুবে যাওয়া মাছ ধরার ট্রলারের বেশ কিছু জেলে ও মাঝিমাল্লাকে উদ্ধার করে বিভিন্ন ট্রলারে পটুয়াখালী উপকূলে নিয়ে আসছে উদ্ধারকারী জেলেরা।
শনিবার বিকেলে জেলার মহিপুর মৎস্য বন্দরে চালনা বয়া থেকে কক্সবাজারের ডুবে যাওয় এফবি আমজাদ ট্রলারের ১৭ জেলেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে সাগর কন্যা নামে একটি ট্রলারের জেলেরা ।
তাদেরকে মহিপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। রাতের মধ্যে বিভিন্ন এলাকার আরও দেড় শতাধিক উদ্ধারকৃত জেলেকে আলীপুর-মহিপুর মৎস্য বন্দরে নেয়ার পথে রয়েছে বেশ কয়েকটি উদ্ধারকারী ট্রলার। ইতিমধ্যে তাদের প্রায় ১০০ জেলেকে আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য বন্দরে আনা হয়েছে।
অন্যদিকে পটুয়াখালীর ডুবে যাওয়া ১১টি ট্রলারের এখনও কয়েক জেলে নিখোঁজ ও ১৪ টি ট্রলার মাঝিমাল্লাসহ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বলছে মহিপুর-আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য আড়ত সমিতি।
অপরদিকে ফিরে আসা জেলেদের বর্ননানুযায়ী গত দু’দিনের ঝড়ে সাগরে কত ট্রলার ডুবি,কত জেলে নিখোঁজ, তাার কতজন উদ্ধার তার হিসাব মেলাতে পারছেন না স্থানীয় ট্রলার মালিক ও মৎস্য আড়ৎ সমিতি। তাদের ধারনা ওই ঝড়ে ৫০টিরও বেশী ট্রলার ডুবে গেছে। পূবালী বাতাসে ২০০-এর বেশী ট্রলার সুুন্দরবন উপকূল ছাড়িয়ে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলো দুমড়ে মুচড়ে গেছে।
স্বজন হারানোর আতংকে উপকূলের জেলে পল্লীতে কান্নার রোল।
ভুক্তভোগী জেলে পরিবার, ট্রলার মালিক, মৎস্য আড়তদার এমন বিপদে তাদের জান মাল উদ্ধারে সরকারী জরুরী পদক্ষেপ কামনা করেছেন।