বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি হবে আজ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। এমন প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্টের সবকটি প্রবেশ পথে বাড়তি নিরাপত্তা লক্ষ করা গেছে।
রোববার সকালে সুপ্রিম কোর্টের প্রতিটি গেইটেই বাড়তি পুলিশ সদস্যের উপস্তিতি দেখা গেছে। যারাই কোর্ট প্রাঙ্গনে প্রবেশ করতে এসেছেন তাদের থামিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করে ঢুকতে দিচ্ছে পুলিশ। এছাড়া আদালত প্রাঙ্গনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সদস্যের উপস্তিতি দেখা গেছে। সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।
গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে একজন নিহত ও অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায়। সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন, মতিঝিল ও শাহজাহানপুর থানায় একটি করে আর রমনা থানায় দুটি মামলা করা হয়। এরপর গত ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাদের বাসা থেকে প্রথমে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে পল্টন থানায় ৮ ডিসেম্বর করা মামলায় উসকানিদাতা, পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৯ ডিসেম্বর কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে চার বার নিম্ন আদালতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। এরপর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করলে গত মঙ্গলবার বিএনপির এই দুই নেতাকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। সেই সাথে এদের কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুলও জারি করেন হাইকোর্ট। তবে হাইকোর্টের দেয়া সে জামিন স্থগিত চেয়ে বুধবার রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চে রোববার শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন চেম্বার আদালতের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম। সে পর্যন্ত বিএনপির দুই নেতার জামিন নামা (বেইল বন্ড) দাখিল না করতে নির্দেশ দেয়া হয়। সে ধারাবাহিকতায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিতের আবেদন আজ প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে শুনানির জন্য এসেছে।