‘ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসে ট্রফি নিয়ে না দাঁড়ালেও চলবে, সমাজের টিপ্পনীকে একপাশে রেখে যে মানুষগুলো আমাদের সবুজ ঘাস ছোঁয়াতে সাহায্য করেছে, তাদের জন্য এটি জিততে চাই। আমাদের এই সাফল্য হয়তো আরো নতুন কিছু সাবিনা, কৃষ্ণা, মারিয়া পেতে সাহায্য করবে। অনুজদের বন্ধুর এই রাস্তাটুকু কিছু হলেও সহজ করে দিয়ে যেতে চাই।’
মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা পোস্টে এভাবেই গহীনের সুপ্ত চাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের তারকা সানজিদা আক্তার।
নেপালকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের আগে থেকেই সানজিদার পোস্ট জন্ম দিয়েছে আলোচনার। ছাদখোলা বাসে চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের সংবর্ধনার বিষয়টি পরিণত হয়েছে সকলের চাওয়ায়।
সমাজের টিপ্পনী একপাশে সরিয়ে জিততে চান সানজিদা
পূর্ণ হতে চলেছে সেই চাওয়া। ছাদখোলা বাসেই প্রথমবার সাফজয়ীদের সংবর্ধনার শুরুটা হতে চলেছে। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানালেন সেকথা।
মেয়েদের সাফে বাংলাদেশের ইতিহাস
‘ছাদখোলা বাস ঢাকায় নেই। তৈরির প্রস্তুতি চলছে। ভেতরটা সাজানো হবে। ডাবল ডেকার বাসের উপরটা কাটা হবে। বিমানবন্দর থেকে বাসে করে তাদের বাফুফে ভবনে নিয়ে যাওয়া হবে।’
জাহিদ আহসান রাসেল বললেন, ‘ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাফুফে একসাথে হয়ে পরে সংবর্ধনার ব্যবস্থা করবে। ফাইনালের পর আমি কিরণ আপাকে কল দিয়ে বলেছি তাদের উপযুক্ত সংবর্ধনা দেয়া হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্রফি জয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে দিতে বলেছেন, জানান প্রতিমন্ত্রী।