পাকিস্তানের পেশোয়ারের মসজিদে জঙ্গি হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই পাঞ্জাবে গভীর রাতে পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় জঙ্গি বাহিনী।
মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে জঙ্গিদের ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল মিয়াঁওয়ালি থানায় এ হামলা চালায়।
মঙ্গলবার রাতে জঙ্গিদের ২০-২৫ জনের একটি দল মিয়াঁওয়ালি থানা ঘিরে ফেলে। এরপর থানায় ঢুকে পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। আচমকা হামলার মুখে পড়েও পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। পাল্টা গুলি চালায় তারা। দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াই চলে। পাল্টা আক্রমণের মুখে পড়ে অবশেষে থানা ছেড়ে পালায় জঙ্গিরা।
পাঞ্জাব পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল (আইজি) উসমান আনওয়ার জানিয়েছেন, জঙ্গিরা অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছিল। রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে তারা থানার ভিতরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এর উচিত জবাব দিয়েছে থানার পুলিশ সদস্যরা।
এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন জঙ্গি আহত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে থানায় হামলা চালানোর দায় এখন পর্যন্ত কোন জঙ্গিগোষ্ঠী নেয়নি বলেও জানিয়েছেন আইজি। তবে ধারণা করা হচ্ছে যে, জঙ্গিরা তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের(টিটিপি) সদস্য।
এর আগে গত সোমবার পেশোয়ারের একটি মসজিদে আত্মঘাতী হামলা চালায় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান জঙ্গিগোষ্ঠী। প্রার্থনার সময় এক বোমারু জঙ্গি মসজিদে ঢুকে পড়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। বিস্ফোরণে প্রায় ১০০ জনের মত মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
টিটিপি পাকিস্তান জুড়ে বেশ কয়েকটি মারাত্মক হামলার জন্য দায়ী। যার মধ্যে রয়েছে ২০০৯ সালে সেনা সদর দফতরে ও সামরিক ঘাঁটিতে এবং ২০০৮ সালে ইসলামাবাদের ম্যারিয়ট হোটেলে বোমা হামলা। ২০১৪ সালে টিটিপি পেশোয়ারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আর্মি পাবলিক স্কুলে (এপিএস) হামলা চালিয়ে ১৩১ জন ছাত্র সহ কমপক্ষে ১৫০ জনকে হত্যা করে।