আবারও কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটা। বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ কাজের বাজেট নির্ধারণ করতে হিমশিম খেতে থাকা প্রতিষ্ঠানটি গেল নভেম্বরে একসাথে ১১ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের মাত্র ৩ মাসের মাথায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মেটা সূত্রে ব্রিটিশ ব্যবসায়িক দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমস শনিবার (১১ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ মেটার মালিকানাধীন একাধিক সংস্থার কর্মী ছাঁটাই করা হবে বলে জানা গেছে। কিন্তু এবার কতজন কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
চলতি মাসের শুরুতেই মেটা ঘোষণা করেছে, ২০২৩ সালে সংস্থার ৮৯ থেকে ৯৫ বিলিয়ন ডলার খরচ হতে পারে। সিইও মার্ক জাকারবার্গও এই বছরকে ‘কর্মক্ষমতার বছর’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। সেই কর্মক্ষমতা বাড়াতেই ফের একবার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে গত নভেম্বর মাসে মার্ক জুকারবার্গ সংস্থার ১৩ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই অর্থাৎ ১১ হাজার কর্মীকে চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করা হয়েছিল। কোনও নির্দিষ্ট একটি শাখা বা বিভাগে নয়, গোটা সংস্থাজুড়েই ছাঁটাই করা হয়। আপাতত নতুন করে কর্মী নিয়োগও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খরচ কমাতে শুধু কর্মী ছাঁটাই-ই নয়, অফিস বন্ধেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেটা। সংস্থার কর্মীদের ডেস্ক ভাগাভাগি করে কাজ করতে বলা হয়েছে বলেও তথ্য জানা গেছে।
২০২২ সাল থেকে ছাঁটাইয়ের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি পড়েছে প্রযুক্তিক্ষেত্রে। গত বছর শুধুমাত্র প্রযুক্তিক্ষেত্রে কাজ হারিয়েছেন ৯৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। যা গত বছরের তুলনায় ৬৪৯ শতাংশ বেশি বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ সাল থেকে এই পর্যন্ত মার্কিন ই-কমার্স জায়ন্টি অ্যামাজন ছাঁটাই করছে ১৮ হাজার কর্মীকে। ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা ১১ হাজার কর্মী, মাইক্রোসফট ১০ হাজার কর্মীকে, সেলসফোর্স ৮ হাজার কর্মীকে, এইচপি ৬ হাজার কর্মী, টুইটার ৩ হাজার ৭০০ কর্মী এবং সিগেট ৩ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করতে চলেছে।
প্রযুক্তিক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা এই মুহূর্তে বিপুল ছাঁটাইয়ের কারণ হিসেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)র পেছনে বিপুল বিনিয়োগকে দায়ী করছে।