
ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনের সম্মানজনক পুরস্কার ব্যালন ডি’অরের জন্য প্রাথমিক মনোনীত ৩০ জন। পারফরম্যান্সে চোখ রাখলে বোঝা যাচ্ছে, লিওনেল মেসি ও আর্লিং হালান্ডের মধ্যে হবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ৩০ অক্টোবর প্যারিসে বিজয়ীর নাম জানানো হবে।
কে জিতবেন ব্যালন ডি’অর, তা নিয়ে এখন থেকেই চলছে আলোচনা-চুলচেরা বিশ্লেষণ। নরওয়ে জাতীয় দলের কোচ, তথা হালান্ডের কোচ স্টেল সলবাকিন বলছেন, পুরস্কারটি মেসির পাওয়া উচিৎ।
‘যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন কে জিতবে, বলবো মেসি। বিশ্বকাপ জয়ের জন্য ব্যালন ডি’অর জিতবে। এর প্রভাব এখনও রয়েছে।’
হালান্ডের কাছেও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন গিয়েছিল। ২৩ বর্ষী স্ট্রাইকার অবশ্য বিষয়টিতে তেমন মনোযোগ দিচ্ছেন না, এমন জানিয়েছেন।
‘এটি একটি কূটনৈতিক প্রশ্ন। আমি অবশ্যই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছি। আমি কি সেরা? হতে পারে। এখনও আমার অনেক উন্নতি করতে হবে। বয়সে আমি এখনো ছোট। তবে হ্যাঁ, বিশ্বাস করি এই বছর ব্যালন ডি’অর জয়ের একটা সুযোগ আমার আছে।’
বিশ্বকাপ জয়ের পাশাপাশি লিগ ওয়ানের শিরোপা জিততে পিএসজিকে সহায়তা করেছেন মেসি। পিএসজিতে মৌসুমে মোট ৩২ ম্যাচে মাঠে নেমে ১৬ গোল করেছেন। পাশাপাশি ১৬টি গোল করতে সহায়তা করেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৭ ম্যাচে ৪ গোলের দেখা পেয়েছিলেন এলএম টেন।
পিএসজি ছেড়ে এখন ইন্টার মিয়ামিতে মেসি। ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক গত ফেব্রুয়ারিতে ফিফার সর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার হাতে তুলেছেন।
অন্যদিকে, গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটি জার্সিতে ৫৩ ম্যাচে হালান্ড করেছেন ৫২ গোল। ক্লাবের প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয়ে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। নরওয়েজিয়ান তারকা প্রিমিয়ার লিগে অভিষিক্ত হয়ে রেকর্ড ৩৬ গোল করেছেন। কদিন আগে প্রফেশনাল ফুটবলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পিএফএ) বর্ষসেরা পুরস্কার জিতেছেন। গত মে মাসে প্রিমিয়ার লিগের প্লেয়ার অব দ্য সিজন এবং ফুটবল রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের বর্ষসেরা পুরুষ খেলোয়াড়ের খেতাব হাতে তুলেছেন হালান্ড।
বিজ্ঞাপন