সাত মাসের অবসর ভেঙে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে ফিরেছেন শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার ভানিডু হাসারাঙ্গা। তাকেসহ দল ঘোষণার কয়েকঘণ্টা পর নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন ডানহাতি তারকা অলরাউন্ডার। খেলতে পারবেন না বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্ট।
চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে লঙ্কার ওয়ানডে সিরিজ হারা ম্যাচে, সোমবার হাসারাঙ্গাকে আইসিসির কোড অব কন্ডাক্ট ফর প্লেয়ার এবং প্লেয়ার সাপোর্ট পার্সোনেলের অনুচ্ছেদ ২.৮ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এ ধারাটি ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালীন একজন আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ভিন্নমত দেখানো’ প্রসঙ্গে।
ঘটনা ম্যাচের ৩৭তম ওভারের। প্রথম বলে মেহেদী মিরাজকে প্রমোদ মাদুশানের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে পাঠান। এরপর ব্যাটে নামা রিশাদ হোসেন প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান, পরের বলে লেগ বিফোরের আবেদন করলেও আম্পায়ার তানভীর আহমেদ সাড়া দেননি। রিভিউ নিয়েও রিশাদ বেঁচে গেলে ওভার শেষে হাসারাঙ্গা আম্পায়ারের হাত থেকে ক্যাপ কেড়ে নেন।
এ ঘটনায় ২৬ বর্ষী তারকার ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ কেটে নেয়া হয়েছে। একই সাথে তার নামের পাশে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছে। গত ২৪ মাসে এ নিয়ে তার নামের পাশে মোট ৮ ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হল।
গতমাসে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আম্পায়ারকে ‘কটু কথা’ বলে জরিমানার মুখে পড়েছিলেন হাসারাঙ্গা। ডাম্বুলায় তৃতীয় টি-টুয়েন্টিতে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট পাওয়ায় বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে খেলতে পারেননি।
হাসারাঙ্গা সবশেষ তিন ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করে মোট ৮ ডিমেরিট পয়েন্টের থ্রেশহোল্ড লঙ্ঘন করেছেন, যা আইসিসির ৭.৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে চারটি নিষেধাজ্ঞা পয়েন্টে রূপান্তরিত হয়েছে। এ কারণে তিনি সমান দুটি টেস্ট অথবা চারটি করে ওয়ানডে অথবা টি-টুয়েন্টি খেলতে পারবেন না। এক্ষেত্রে যে ম্যাচ আগে আসবে সেটাতেই কার্যকর হবে নিষেধাজ্ঞা।
লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসও জরিমানার মুখে পড়েছেন। তাকে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে এবং তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়া হয়েছে। একই সাথে তার বিরুদ্ধে আইসিসির কোডের লেভেল ২ ভাঙার অভিযোগ আনা হয়েছে। যে ধারায় বলা হয়েছে, ‘হ্যান্ডশেকের সময় আম্পায়ারের সাথে দুর্বব্যহার করা’।
সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে আম্পায়ারের সাথে এমন ঘটনা ঘটান মেন্ডিস। তার বিরুদ্ধে ২.১৩ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। মেন্ডিসের বিরুদ্ধে গত ২৪ মাসে এটাই প্রথম অভিযোগ। ফলে কোনো ম্যাচে নিষেধাজ্ঞায় পড়ছেন না। উভয়ই নিজেদের দোষ স্বীকার করে নেয়ায় শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।