চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘আর একবার বাংলাদেশের সিনেমার চমক দেখাতে চাই’

‘হাওয়া’র ট্রেলার শেয়ার করে বললেন চঞ্চল চৌধুরী

চলতি বছরের বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘হাওয়া’। ২০২১ সালে মুক্তির কথা থাকলেও পিছিয়ে চলতি বছরে মুক্তি চূড়ান্ত করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত হলো মেজবাউর রহমান পরিচালিত তারকাবহুল এই সিনেমার ট্রেলার। 

প্রায় আড়াই মিনিটের এই ট্রেলারে গভীর সমুদ্রে জলের সঙ্গে মিশে যাওয়া জেলেদের গল্পই উঠে এসেছে। মাছ ধরার ট্রলারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ‘হাওয়া’র কাহিনি। অন্তত ট্রেলারে এমনই আভাস। যেখানে হঠাৎ আগমন ঘটে এক রহস্যময় নারীর!

‘হাওয়া’র মধ্য দিয়ে সিনেমা নির্মাণে পা রাখতে যাচ্ছেন মেজবাউর রহমান সুমন। তারই কাহিনি এবং সংলাপে সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন জাহিন ফারুক আমিন, সুকর্ণ সাহেদ ধীমান ও সুমন নিজে। ছবিটির চিত্রগ্রাহক ‘মনপুরা’ খ্যাত কামরুল হাসান খসরু, সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী। আর ছবিটি প্রযোজনা করেছে সান মিউজিক এন্ড মোশন পিকচার্স লি.।

তারকাবহুল সিনেমার ট্রেলারে ভিন্ন ভিন্ন লুকে দেখা গেছে চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ, সোহেল রানা ও নাজিফা তুষিকে। ট্রেলারটি শেয়ার করে এদিন চঞ্চল চৌধুরী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, “আমরা আপনাদের আর একবার বাংলাদেশের সিনেমার চমক দেখাতে চাই এবং দেখতে চাই। ‘হাওয়া’ বাংলাদেশের সিনেমাকে বিশ্ব মানচিত্রে আর এক ধাপ এগিয়ে  নিয়ে যাবে বলে আশা করি।”

শুধু চঞ্চল চৌধুরী ই নয়, ‘হাওয়া’র ট্রেলার প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই সিনেমাপ্রেমী সাধারণ দর্শকেরাও মজেছেন এর প্রশংসায়। সকলেই বলছেন, চলতি বছরে প্রেক্ষাগৃহে আবারও বড় চমক দেখাতে পারে এই ছবিটি।

২০১৯ সালের শেষ দিকে হয়েছে ‘হাওয়া’র শুটিং। বঙ্গোপসাগরের একেবারে মধ্যখানে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ছিলো শুটিং লোকেশন। টানা প্রায় মাস খানেক হয়েছে শুটিং। তার আগে দীর্ঘ সময় নিয়ে হয়েছে গ্রুমিং। এই ছবির শুটিংয়ের সময়ই পুরো বহর নিয়ে মাঝ সাগরে নির্মাতাকে মুখোমুখি হতে হয়েছিলো ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের! তারপর করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন ঝুলে ছিলো। তবে আসছে ঈদের ঠিক পর পরই দর্শক বড় পর্দায় ‘হাওয়া’ দেখতে পারবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন সুমন।

প্রথম চলচ্চিত্র হলেও ছোট পর্দায় প্রতিষ্ঠিত নির্মাতাদের একজন মেজবাউর রহমান সুমন। ২০০৬ সালে তার নির্মিত প্রথম নাটক ‘দক্ষিণের জানালাটা খোলা, আলো আসে-আলো ফিরে যায়’ প্রশংসিত হয়েছিল দর্শকমহলে। এরপর তিনি ‘তারপরও আঙ্গুরলতা নন্দকে ভালোবাসে’, ‘পারুলের দিন’,‘জ্যোৎস্না নদী ও রফিকের কিছু কল্পদৃশ’, ‘সুপারম্যান’, ‘কফি হাউজ’সহ বেশকিছু নাটক নির্মাণ করেছেন।