রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হলে তা হবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলে সতর্ক করেছেন সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের জারি করা পরোয়ানা অনুযায়ী পুতিনকে কোন দেশে গ্রেপ্তার করা হলে তা হবে সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।
গত শুক্রবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পুতিনের বিরুদ্ধে একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় বলা হয়, ইউক্রেন থেকে শত শত শিশুকে বেআইনিভাবে উদ্ধাস্তু করে রাশিয়ায় নিয়ে পুতিন যুদ্ধাপরাধ করেছেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় মেদভেদেভ বলেন, ‘যদিও এ পরিস্থিতি কখনো কল্পনায়ও আনা যায় না, এরপরও মনে করুন, পারমাণবিক রাষ্ট্রের বর্তমান প্রধান কোনো দেশে গেছেন। ধরা যাক তিনি জার্মানিতে গেছেন এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন। এতে কী হবে? এটি হবে রুশ ফেডারেশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। এ ক্ষেত্রে আমাদের সব সরঞ্জাম, সব ক্ষেপণাস্ত্র বুন্দেসতাগ থেকে শুরু করে চ্যান্সেলরের কার্যালয়ের দিকে নিক্ষেপ করা হবে।’
ক্রেমলিন বলছে, পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা একটি পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত। রাশিয়ার কাছে এর কোনো গুরুত্ব নেই।
মেদভেদেভ বলেন, ‘ইউক্রেন রাশিয়ার অংশ। আধুনিক জামানার বেশির ভাগ সময় ইউক্রেন রুশ সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। ১৯৯১ সালের পর রাশিয়া ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেয় এবং ১৯৯৪ সালে বুদাপেস্ট স্মারক মতে সীমানার অনুমোদন দেয়।’

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরু হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাতের ঘটনা বলে উল্লেখ করছেন বিশেষজ্ঞরা। ১৯৬২ সালে কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর মস্কো ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় সংঘাতের ঘটনা।
মেদভেদেভ বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক সম্ভবত সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভ বর্তমানে দেশটির নিরাপত্তা পরিষদের উপচেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। তিনি ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন।